উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় শুভেন্দুর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে পালটা হুমকি দিয়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। হুমায়ুনের কথায়, তার কাছে আগে সম্প্রদায় তারপর দল। মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করার পরও হুমায়ুন এই মন্তব্য করায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যদিও চিঠি পেলে শোকজের জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন। তবে নিজের মন্তব্যে এখনও অনড় রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন হুমায়ুন। গত বছর নভেম্বর মাসেই একাধিক ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জন্য তাঁকে শো-কজ় করেছিল এই কমিটি। সূত্রের খবর, এর পরেও মন্তব্যে নিয়ন্ত্রণ না আনায় হুমায়ুনের উপরে ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেন ‘২০২৬-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের জয়ী মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বাইরে ছুড়ে ফেলা হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিধানসভাতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু দলনেত্রী প্রতিক্রিয়া দিলেও থেমে থাকেননি হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান ‘একটা বিধায়ককে চ্যাংদোলা করে দেখাক। কত হিম্মত দেখব।’ এরপরেই তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে আগে আমার জাতি, তার পর দল। আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি চুপ থাকব না।’ শুভেন্দুর হুঁশিয়ারির পর সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতাকে। এরপরই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে বিধানসভার সচিবালয়ে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। এর পরই হুমায়ুনকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয় দল। সতর্ক করা হয় সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরিকেও।