Harishchandrapur | সেচ দপ্তরের জমি-ক্যানাল বিক্রির অভিযোগ! প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

Harishchandrapur | সেচ দপ্তরের জমি-ক্যানাল বিক্রির অভিযোগ! প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

শিক্ষা
Spread the love


হরিশ্চন্দ্রপুর: মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশের পরেও হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur) সরকারি জমি কেনাবেচা চলছে প্রকাশ্য দিবালোকেই। সেচ দপ্তরের জমি ও ক্যানাল (Land and canal) স্ট্যাম্প পেপারে ছয় লক্ষ টাকায় বিক্রি এমনকি ওই এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ভরাটেরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালা পাথর গ্রামের। বুধবার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশবাহিনী।

জানা গিয়েছে, বালা পাথর গ্রামে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের দেড় বিঘা জমি এবং ক্যানাল রয়েছে। ওই জমিতে স্থানীয় কৃষকরা চাষবাস করেন। আর ক্যানাল দিয়ে চাষবাস সহ এলাকার জল নিকাশি হয়। কিন্তু অভিযোগ, ইসাক নামে এক ব্যক্তি ভুয়োভাবে ওই জমি কিনে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ভরাট করছে। সেজন্যই এদিন এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, ক্যানাল বন্ধ হয়ে গেলে দুটি গ্রামের মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়বে। পাশাপাশি বিঘ্ন হবে কৃষিকাজ। তাছাড়া সরকারি জমি কীভাবে বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই নিয়ে প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই জমি দখল হচ্ছে। গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলেই সব চুপচাপ হয়ে যায়। আবার কিছুদিন পর এই মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে এলাকার কিছু মাফিয়ারা।’ যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ওই জমি দখলকারী ইসাকের ছেলে। তিনি বলেন, ‘আমি ওই জমি এলাকার একটি কমিটির কাছ থেকে কিনেছি ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। দলিলও রয়েছে আমার কাছে।’ এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস বলেন, ‘সেচ দপ্তর থেকে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *