Harishchandrapur | সাইবার ক্যাফে, কম্পিউটার শেখানোর আড়ালে জাল আধারচক্র

Harishchandrapur | সাইবার ক্যাফে, কম্পিউটার শেখানোর আড়ালে জাল আধারচক্র

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


সৌরভকুমার মিশ্র ও মুরতুজ আলম, হরিশ্চন্দ্রপুর ও সামসী: গত সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানা এলাকা থেকে একজন এবং চাঁচল থানা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র চালানোর জন্য। রবিবারে আরও দুজনকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ (Chanchal Police)। মঙ্গলবার ধৃতদের চাঁচল আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইন কাজকর্মের দোকান অথবা সাইবার ক্যাফে কিংবা কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কিন্তু তার আড়ালে রমরমিয়ে চলছে জাল আধার কার্ড তৈরির কারখানা। আইরিশ স্ক্যানার থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার দিয়ে আধার তৈরির সফটওয়্যারও ব্যবহার করা হচ্ছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাংলা-বিহার সীমানার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। কোথাও আবার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। আর এই আধার তৈরি করতে গিয়ে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের থেকেও ১০-১২ গুণ টাকা নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই, রাজস্থান এবং তামিলনাডুর আইডি ব্যবহার করে চাঁচল এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে অবৈধভাবে চলে জাল আধার কার্ড তৈরির কাজ। বেশি টাকা নিয়ে সেই কাজ করা হত। এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁচল থানার পুলিশ রবিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম মোস্তাফা আবদুল ওয়াহেদ, বাড়ি গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সূতি গ্রামে, আরেকজন মহম্মদ আজম হরিশ্চন্দ্রপুর থানার উত্তর রামপুরের বাসিন্দা।

প্রথমে চাঁচল থানার সতী এলাকা থেকে আবদুলকে গ্রেপ্তার করে চাঁচল থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড আজমকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদার উত্তর রামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তর রামপুরের একটি সিএসপি এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালাতেন দুজনে। তার আড়ালে চলত জাল আধার কার্ড তৈরির কাজ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার থেকে আইরিশ স্ক্যানার এবং কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশ। ধৃত আজমের ভাই মোহাম্মদ ওয়াকাশ বলেন, ‘আমার দাদা নির্দোষ। মুর্শিদাবাদের একটি ছেলে এখানে এসে আধার কার্ড বানাত। আমার দাদা এই কাজে যুক্ত ছিল না।’ একই দাবি আবদুলের বাবা জামিল আখতারের।

হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাবলু রজক বলেন, ‘হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্যাংক, পোস্ট অফিসগুলিতে বেশ কয়েক জায়গায় আধার কার্ড তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু সেগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সুযোগেই ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি আধার তৈরির কেন্দ্র গড়ে উঠছে গ্রামগঞ্জে। আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি স্তরে আধার কার্ড তৈরির শিবির করব।’ হরিশ্চন্দ্রপুর-১’এর বিডিও সৌমেন মণ্ডল বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে দেখতে বলেছেন।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘যখনই এই বিষয়ে আমরা অভিযোগ পাই, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এলাকায় কোথায় কোথায় এই ধরনের কেন্দ্র চলছে সেগুলো নিয়ে আমরা খোঁজখবর চালাচ্ছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *