হরিশ্চন্দ্রপুর: দীর্ঘদিন ধরে র্যাশনে মাল কম দিচ্ছেন ডিলার। মেশিনের স্লিপ নয় হাতে লেখা স্লিপ দিচ্ছেন গ্রাহকদের। এমনকি দুয়ারে র্যাশন কর্মসূচি করছেন না, এমনই অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটোল গ্রামের র্যাশন ডিলার জয় নারায়ণ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসতেই ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্তে নামল ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আব্দুল হালিম। অভিযোগ প্রমানিত হলে ডিলারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
র্যাশন গ্রাহকদের অভিযোগ, ডিলার জয় নারায়ণ বহুদিন ধরে পরিবার পিছু ২-৩ কেজি করে রেশন সামগ্রী কম দিচ্ছেন। হাতে লেখা স্লিপ দেন। মাসের শেষে দুই থেকে তিন দিন র্যাশন দেন। অনেকেই র্যাশন পান না বলে অভিযোগ। দুয়ারে র্যাশন কোনওদিন দিতে আসেন না। বাড়িতে বসে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেন ডিলার। অভিযোগ জানাতে গেলে হুমকি দেন ডিলার। মাসের শেষে দুই থেকে তিন দিন র্যাশন দেন। অনেকেই র্যাশন পায় না। র্যাশন ফুরিয়ে গেছে বলে সাফাই দিয়ে গ্ৰাহকদের ঘুরিয়ে দেন। ব্লকে একাধিকবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আব্দুল হালিম। ফুড ইন্সপেক্টর আব্দুল হালিম বলেন, ‘গ্ৰাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত আসি। র্যাশন সামগ্রী কম, কম্পিউটার স্লিপ না দেওয়া ও দুয়ারে র্যাশন না দেওয়ার পাশাপাশি মাসের শেষে দুই তিন র্যাশন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি গ্রাহকদের কাছ থেকে। জেলায় সমস্ত রিপোর্ট জানানো হয়েছে। ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’