হরিশ্চন্দ্রপুর: গতকালই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান লাভলি খাতুনের ওবিসি শংসাপত্র জাল বলে খারিজ করেছে প্রশাসন। যেই ব্যক্তিকে ভুয়ো বাবা সাজিয়ে এই সংশাপত্র তৈরি করা হয়েছিল এদিন তাঁর ভাই জানিয়ে দেন, প্রধান লাভলি খাতুন তাঁর দাদার মেয়ে নন। তাঁর দাদা ভুয়ো নথি তৈরিতে সাহায্য করে দেশদ্রোহী কাজ করেছে। একই সঙ্গে প্রধানকে গ্রেপ্তার ও তার দাদার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি। বাবা হিসেবে লাভলি খাতুন কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের মুস্তাফা নামে এক ব্যক্তির নাম ব্যবহার করেছিলেন। যদিও পরে তদন্তে জানা যায় মুস্তাফা আদৌ তার বাবা না। মুস্তাফার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। তার নাম কাজে লাগিয়ে জালিয়াতি করে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট তুলেছিলেন লাভলি খাতুন। আবার গ্রামের নাম বাগমারা না দিয়ে দেওয়া হয়েছিল শালদহ। মোস্তফার ভাই আজাদ এই ঘটনার জন্য তার দাদাকে দায়ি করে জানান, এটা দেশদ্রোহিতার সমান। একজন বাংলাদেশীকে জাল নথিপত্র বের করতে সহায়তা করা বিশাল বড় অপরাধ। ওর নাগরিকত্ব বাতিল হওয়া উচিত। যদিও এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি লাভলী খাতুন। তাকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। ঘটনা যেদিকে মোড় নিয়েছে তাতে লাভলি খাতুনকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। এমনকি ওই প্রধান বাংলাদেশ থেকে কিভাবে অনুপ্রবেশ করলেন সেটা নিয়েও তদন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায় জানান, পঞ্চায়েত আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।