হলদিবাড়ি: হলদিবাড়ির বিভিন্ন ব্লকের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমশ নেশার আসক্তি বাড়ছে। মদ বা তামাকজাত দ্রব্য তো রয়েছেই। সম্প্রতি তার সঙ্গে গাঁজায় আসক্তিও বাড়ছে। অভিযোগ, হলদিবাড়ি ব্লকের আশপাশের এলাকায় গাঁজার কারবারের জন্য বেশ কিছু ঘাঁটি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই রমরমিয়ে গাঁজা পাচার চলছে। নেশার কবলে পড়ে এলাকার তরুণ প্রজন্ম সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। সকাল থেকে রাত অবধি হলদিবাড়ি এলাকার তরুণদের একাংশ গাঁজা ও বিভিন্ন নেশায় বিভোর হয়ে থাকে। এমনকি নেশার অর্থ জোগাড় করতে তারা নানারকম দুষ্কর্মের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে। যদিও এব্যাপারে পুলিশ জানাচ্ছে, গোটা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এরপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেও বহুবার এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, হলদিবাড়ি শহরের বাজার চত্বর ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে গাঁজা সহ আরও অন্যান্য মাদক সামগ্রী সরবরাহ করে। আবার কখনো-কখনো কমিশনের ভিত্তিতে ক্রেতাদের কাছে গাঁজা সরাসরিও পৌঁছে যায়। স্থানীয়দের দাবি, একটি বড় চক্র মাদক সামগ্রী পাচারে জড়িত। প্রশাসন এবিষয়টি খুঁজে বের করুক। হলদিবাড়ির বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক কমলকুমার রায় এবিষয়ে বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও হলদিবাড়িতে এমন চিত্র দেখা যেত না। গত দুই-তিন বছরে এলাকার তরুণরা গাঁজা ও বিভিন্ন ধরনের নেশায় বিভোর থাকছে। যা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের বাজার চত্বরে সাইকেলে করে গাঁজা সরবরাহ করা হয়। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ইদানীং তামাকজাত দ্রব্য সেবনের প্রবণতা বাড়ছে।’
নিত্যদিন নেশা করায় নতুন প্রজন্মের অনেকের পরিবারও চিন্তিত। ভুক্তভোগী এক সদস্যের কথায়, ‘বাড়িতে ছেলে গাঁজার নেশায় প্রায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। শেষমেশ চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়েছি।’ এলাকার আরেক শিক্ষক সুরজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, টিফিনে বা ছুটির পর পড়ুয়ারা সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে। অন্যদিকে পুর নাগরিক রাজেন রায়ের কথায়, ‘দিনের বিভিন্ন সময় পড়ুয়ারা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পিছনে ও হলদিবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের পিছনের মাঠে সিগারেটের তামাক ফেলে তার মধ্যে গাঁজা ভরে সেবন করে।’