বিপ্লব হালদার, গঙ্গারামপুর: নজরদারি কমতে ফের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার রমরমিয়ে উঠেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গঙ্গারামপুর শহরের সচেতন মানুষজন (Gangarampur)।
শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ মাংস, চাল, ডাল, তেল, নুন, চিঁড়া, মুড়ি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্যারিব্যাগে বহন করা এখন নিত্যদিনের বিষয়। এতে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। যা যথেষ্টভাবেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে দুই বছর আগে ১০০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাগ, থার্মোকলের থালা, গ্লাস ও চায়ের কাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল গঙ্গারামপুর পুরসভা। সেইসঙ্গে পুরসভার তরফে শহরের অলিগলি ঘুরে প্রচার করা হয়েছিল। নির্দেশ অমান্যকারীদের জন্য ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথাও ঘোষণা করা হয়। পুরসভার তরফে অভিযানেও নামা হয়েছিল। পুর কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করতেই শহরজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চট ও কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বাজারে আসার প্রবণতা বেড়ে ছিল। কিন্তু নজরদারি কমতেই ফের শহরজুড়ে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, থার্মোকলের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে।
পরিবেশপ্রেমী রাজু কুণ্ডুর কথায়, ‘গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জনের যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা আজ প্রায় ম্রিয়মাণ। ফলস্বরূপ শহরজুড়ে আজ প্রকাশ্যেই প্লাস্টিক এবং ক্যারিব্যাগের যথেচ্ছ ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এর ভয়ংকর পরিণতি যে আমাদের সকলকে বিপদের সম্মুখীন করছে তা আমরা বুঝেও বুঝছি না। তাই পুরসভার উচিত এই প্লাস্টিক ব্যবহার বিরোধী আইনকে আরও কঠোর করা এবং তা বাস্তবে সুদক্ষতার সঙ্গে প্রতিফলন ঘটানো।’
গঙ্গারামপুর ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক কমলেশ ফৌজদার জানান, ‘প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকল ব্যবহার বন্ধ করতে প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।’ গঙ্গারামপুরের উপপুরপ্রধান জয়ন্তকুমার দাস বলেন, ‘প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে নজরদারি চালানো হবে।’