Falakata Municipality | কাগজে-কলমে বাজেট নয়, ১৩৫টি কাজের প্রস্তাব পাঠাচ্ছে ফালাকাটা পুরসভা

Falakata Municipality | কাগজে-কলমে বাজেট নয়, ১৩৫টি কাজের প্রস্তাব পাঠাচ্ছে ফালাকাটা পুরসভা

শিক্ষা
Spread the love


ভাস্কর শর্মা, ফালাকাটা: আলিপুরদুয়ার পুরসভা ১৫০ কোটি টাকার একটি মেগা বাজেট তৈরি করেছে। কিন্তু সেই পথে হাঁটল না প্রতিবেশী ফালাকাটা পুরসভা (Falakata Municipality)। বাঁধাধরা নিয়মে আগামী অর্থবর্ষের জন্য খাতায়-কলমে বাজেট পেশ করল না পুরসভা। বরং তার বদলে প্রকল্পে যাতে বেশি করে অনুমোদন আসে, তারই উদ্যোগ নেওয়া হল। ইতিমধ্যেই আগামী অর্থবর্ষের জন্য প্রকল্প তৈরি করে তা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ফালাকাটা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ মুহুরি বলেন, ‘আমরা আগামী অর্থবর্ষের জন্য ১৩৫ উন্নয়নমূলক কাজ চিহ্নিত করেছি। রাস্তা, নালা, কালভার্ট সহ আরও বেশ কিছু কাজের রূপরেখা তৈরি করে আমরা নগরোন্নয়ন দপ্তরের পোর্টালে আপলোড করছি। এতে দ্রুত প্রকল্পগুলি অনুমোদন হবে বলে আমরা আশা রাখছি।’

পুরসভার বর্তমান বয়স ৩ বছর। জানা গিয়েছে, সবকিছু নতুন হওয়ায় প্রথম বছর সেভাবে পুর কর্তৃপক্ষ বাজেট জমা করতে পারেনি। তবে দ্বিতীয় বছর প্রায় ২০৭ কোটি টাকার একটি মেগা বাজেট বানিয়ে রাজ্যে পাঠিয়েছিল পুরসভা। এর মধ্যে ছিল পুরসভার নিজস্ব ভবন, শহরজুড়ে বৈদ্যুতিকরণ, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প সহ রাস্তা, নালা ও কালভার্টের কাজ। কিন্তু গত বছর ওই বাজেট থেকে তেমন কোনও প্রকল্পের জন্যই নাকি বরাদ্দ আসেনি। বরং বাজেটের পর নগরোন্নয়ন দপ্তরের পোর্টালে যেসব কাজের ডিপিআর পাঠানো হয়েছিল তার বেশিরভাগই অনুমোদন পায়। ফলে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত শহরজুড়ে রাস্তা, নালার কাজ হয়। তাই গতবছর থেকে শিক্ষা নিয়ে কাগজে-কলমে বাজেট তৈরি করে পাঠাতে রাজি নয় পুরসভা।

ফালাকাটা পুরসভা হতেই পরিষেবা নিয়ে আশা বেড়ে গিয়েছিল বাসিন্দাদের। কিন্তু বিভিন্ন কারণে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে উঠছিল নানা অভিযোগ। উন্নয়নমূলক কাজ করতে তাই আগেরবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে সোজাসুজি পোর্টালে কাজের ডিপিআর আপলোড করার পথ বেছে নিয়েছে ফালাকাটা পুরসভা।

পুরসভা চাইছিল পোর্টালে প্রকল্প আপলোড করেই অনুমোদন আনতে। এবার তাই শহরজুড়ে নতুন পাকা রাস্তা তৈরি, বেশ কিছু রাস্তা সংস্কার, হাইড্রেন, কয়েকটি ওয়ার্ডে ছোট করে নদীর বাঁধ, কালভার্ট তৈরির মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কাজগুলির ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যের পোর্টালে তোলার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। যদিও পুরসভার একটি সূত্রে খবর, ১৩৫টি প্রকল্পে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার উপরে বাজেট হবে। এছাড়াও পুরসভার নিজস্ব ভবন, ট্রাক টার্মিনাস, শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি সহ আরও বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। এতেও কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

পুরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলার জানান, ছাব্বিশের ভোট আছে। তাই ওই বছর পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করে রাজ্যে পাঠানোর মতো সময় থাকবে না। এই সময় আগামী বছর ভোটের দামামা বেজে যাবে। তাই এবার পুরসভা খাতায়-কলমে বাজেট না করে সরাসরি অর্থ আদায় করার পথে হেঁটেছে। কাউন্সিলারদের সকলেই পুরসভার এই ভাবনা এবং উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *