Excessive Courtroom | হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্বামী, স্ত্রীর খোলা চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে! তবুও অধরা তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে

Excessive Courtroom | হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্বামী, স্ত্রীর খোলা চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে! তবুও অধরা তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তায় ফেলে একজন প্রবীণ সিপিএম নেতাকে মানুষকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী, অথচ আজও পুলিশের নাগালের বাইরে তিনি! তৃণমূলের নেত্রী বলেই কী উদাসীন পুলিশ?  শুক্রবার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন খড়গপুরের বাম নেতা অনিল দাস। আগামী সপ্তাহে মঙ্গল কিংবা বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা উঠতে পারে বলে জানা গেছে।

দিন পাঁচেক আগে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঝড় তোলে। ভিডিতে দেখা যায়, খড়গপুরের সিপিএম নেতা অনিল দাসকে জনবহুল রাস্তায় ফেলে মারছেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। মারের হাত থেকে বাঁচতে সিপিএম নেতা স্থানীয় রঙের দোকানে প্রবেশ করলে সেখানে ঢুকেও মারেন বেবি এবং তাঁর অনুগামীরা। এরপর প্রবীণ নেতার গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় রঙ। দুই জনের মধ্যে ঝামেলার নেপথ্যে ছিল একটি প্রাচীর ভাঙার ঘটনা। অনিল দাসের এলাকায় এক বাড়ির প্রাচীর জোর করে ভাঙতে চেয়েছিলেন বেবি কোলে এবং তাঁর অনুগামীরা। সে সময় বাধা দেন প্রবীণ সিপিএম নেতা। যা নিয়েই বেজায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বেবি কোলে। এরপর তাঁকে মারধোর করা হয়। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে খড়গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন  বাম নেতা। কিন্তু কোথায় বেবি কোলে? কেন তাঁকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা নেই? এই প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনিল বাবু। এদিকে, তাঁর স্বামীকে মারধরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন অনিল দাসের স্ত্রী সুস্মিতা দাস। স্বামীর উপর অত্যাচারের ন্যায়বিচার যেন পান, সেই আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, পুলিশ তাদের নিয়ে এসে, আবার মারুতি করে ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছে। আমি ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করেছি। ছাত্র আন্দোলন করেছি। সোশ্যাল সেক্রেটারি ছিলাম। আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উত্থানপতন দেখেছি। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা এখন খারাপ, আমি জীবনে প্রথম দেখলাম।’

 

 

 

 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *