উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আমাদের নাগালের মধ্যেই সুলভ কিছু খাবার আছে যা ‘সুপার ফুড’ হিসাবে পরিচিত। ডিম তেমই একটি খাবার (Egg)। ডিম অত্যন্ত সহজলভ্য, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ পাওয়ারহাউস। লিখেছেন ডঃ ভাওয়ালস মায়োপিয়া ক্লিনিকের পুষ্টিবিদ সমন্বিতা ভাওয়াল।
প্রথমত, ডিমে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি১২, আয়রন, জিংক, ফসফরাস, সেলোনিয়াম প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান, যা দেহের শক্তিবৃদ্ধির সঙ্গে দেহকে সুঠাম, সজীব করে এবং হাড় মজবুত করে। একটি ডিমে ৭৭ ক্যালোরি থাকে। এছাড়া উচ্চমানের প্রোটিনের পরিমাণ ৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ০.৫৬ গাম এবং ৫ গ্রামের মতো ফ্যাট থাকে। ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যালবুমিন যা একটি উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন। ডিমের কুসুমে থাকা লুটেইন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লুটেইন চোখের বার্ধক্যজনিত সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা বায়োটিন নখও চুলের ভঙ্গুর হওয়া রোধ করে। স্মৃতিশক্তি রক্ষা ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ডিমে থাকা প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা ওয়েটলস ডায়েটে আছেন, তাঁরাও পরিমাণমতো ডিম খেতে পারেন। ডিমে থাকা ফ্যাট প্রধানত মনোস্যাচুরেটেড, ট্রান্সফ্যাট অর্থাৎ ক্ষতিকর ফ্যাট নেই বললেই চলে। আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষ স্বাদ, পুষ্টি ও সুষম আহারের বিচারে ডিমকে অগ্রাধিকার দিতেই পারেন। তবে কীভাবে কখন খাবেন তা একজন পুষ্টিবিদই সঠিকভাবে গাইড করতে পারেন। অতিরিক্ত তেলমশলা সহযোগে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
সুতরাং ওবিসিটি, ফ্যাটি লিভার কিংবা হাইপারটেনশনজনিত কিছু সমস্যা থাকলেও একটি সেদ্ধ ডিম নির্ভয়ে প্রত্যেকে রোজ খেতেই পারেন। তাই তো ডিম সস্তার সুপার ফুড।