বিধান ঘোষ, হিলি: ম্লান হয়েছে যৌবনকাল। শীর্ণকায় জলহীন নদীর বুকে চড়ছে গোরু। চলছে কৃষিকাজ। এভাবেই যেন আপাদমস্তক চিত্র বদলে গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি (Hili) থানার ৩ নম্বর ধলপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার চিরি নদী৷ ওই নদীর সুখময় অধ্যায় এখন অসংরক্ষিত স্মৃতি। সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞ, সবাই ওই নদী সংস্কারের দাবি তুলেছে।
চিরি নদী অধুনা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কাতলা ইউনিয়নের জোতমাধব বিল থেকে উৎপত্তি হয়ে হিলি থানার ৩ নম্বর ধলপাড়া পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর পঞ্চায়েত অতিক্রম করে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের ইসবপুর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীতে পতিত হয়েছে চিরি নদী। ওই নদীতে কোনও ড্যাম বা কোনও বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয় সৌরভ সরকার বলেন, ‘বাপঠাকুরদার আমলে নদীতে কত জল ছিল। সেই জল দিয়ে কৃষিকাজ চলত। কিন্তু বছর বিশে নদীর হাল বদলে গিয়েছে। নদীতে সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। বহু মানুষ মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করত। এখন আর কিচ্ছু নেই। আমরা চাই নদীকে সংস্কার করে পুরোনো জায়গায় ফেরানো হোক।’
নদী বিশেষজ্ঞ সূরজ দাস বলেন, ‘দু-আড়াই দশকে নদীর বুকে পলি জমে নদীর রূপ বদলে গিয়েছে। নদীপারের মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। নদীর জল কৃষিকাজেও ব্যবহার করা হত। কিন্তু সেসব এখন অতীত। দ্রুত সংস্কার করে নদীটিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, না হলে আমরা অচিরেই একটি সম্পদ হারিয়ে ফেলব।’