সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: প্রেমিকার বয়স ১৮ বছর হওয়ার পরে তাঁকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু প্রেমিকার বয়স ১৮ হওয়ার কয়েকদিন আগে তাঁকে নিয়ে পালিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) এক তরুণ। আর এনিয়ে আইনের গেরোয় পড়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে ওই তরুণকে।
মে মাসের ১৫ তারিখে গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসিন্দা ওই তরুণ বালুরঘাটের (Balurghat) চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নাবালিকাকে নিয়ে পালান। এদিকে বাড়ির মেয়ের কোথাও খোঁজ না পেয়ে তার বন্ধু, বান্ধবীদের কাছে খোঁজ নিয়ে গঙ্গারামপুর ব্লকের এক তরুণের নাম জানতে পারে তার পরিবার। এরপর ওই নাবালিকার বাড়ির লোক বালুরঘাট থানায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই তরুণ। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর ব্লকের একটি গ্রাম থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার পরে তাঁর গোপন জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধৃত তরুণকে এদিন বালুরঘাট আদালতে পেশ করা হয়।
এদিকে জুলাই মাসের ওই নাবালিকার ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর গত সপ্তাহে তাঁরা বিয়ে করে নেন। দুই পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। বিয়ের পর ওই তরুণী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মেয়ের খোঁজ পেতেই পুলিশের কাছে তা জানিয়ে দেয় তরুণীর পরিবার।
কিন্তু ওই তরুণীকে নাবালিকা অবস্থায় অপহরণের অভিযোগ থাকায় মামলার তদন্ত শেষ করতে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি তাঁকে অপহরণের সন্দেহে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে বাড়ির মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এখন জামাইয়ের এমন অবস্থা দেখে চোখের জল ফেলছেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।
এদিন বালুরঘাট থানায় বসে তরুণীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা অপহরণের মামলা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ তখন উদ্ধার করতে পারেনি। এরপর মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার পর ওরা বিয়ে করে সংসার করছে। আমরা ওদের বিয়ে মেনে নিয়েছি। এখন পুলিশ ওদের ধরে নিয়ে এসেছে। আইনের ফাঁসে পড়ে আমার জামাই এখন জেলে।’
বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বললেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে অপহরণের অভিযোগে এক তরুণকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’