দেওয়ানহাট: বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যে চিয়া বীজের কদর ক্রমেই বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে কেউ খাচ্ছেন শরীরের মেদ কমাতে, কেউ রক্তের শর্করা কমাতে বা অন্য কোনও কারণে। এই চিয়া বীজের চাষ ও তার ব্যবহার সভ্যতার শুরু থেকে। দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ পেরিয়ে চিয়া বীজ এখন ভারত তথা কোচবিহার জেলাতেও চাষ হচ্ছে। সেই চিয়া বীজ চাষ নিয়ে শ্রদ্ধা ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বলরামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কামাত শ্যাওড়াগুড়ি এলাকায় এক কৃষি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা (উত্তরবঙ্গ) শুভেন্দু মণ্ডল, কোচবিহার জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অসিতবরণ মণ্ডল, তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের কৃষি দপ্তরের প্রযুক্তি ব্যবস্থাপক সঞ্জয় সাহা, এই চাষের উদ্যোক্তা তথা শিক্ষক সৈকত সরকার উপস্থিত ছিলেন। ওই শিবিরে প্রায় ৩০ জন কৃষক যোগ দেন।
জেলায় কামাত শ্যাওড়াগুড়ি এলাকাতেই প্রথম চিয়া বীজ চাষ হচ্ছে বলে শ্রদ্ধা ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানির দাবি। কৃষি আধিকারিকরা এদিন সচেতনতা শিবিরে আলোচনার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের চিয়া বীজ চাষের জমি পরিদর্শন করেন। নতুন ধরনের ফসল চাষের এই উদ্যোগকে তাঁরা সাধুবাদ জানান। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা বলেন, ‘বোরো মরশুমে কম জলসেচে বিভিন্ন চাষের বিষয়ে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও কৃষকদের আর্থিক মুনাফাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে চিয়া বীজ নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।’
ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে এদিন চিয়া বীজ চাষি রঞ্জিত কার্জিকে আতমা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা হয়। স্থানীয় কৃষক ভবেশ বর্মন, টোটন বর্মন জানান, তাঁরা আগামীতে এই চাষের সঙ্গে মিলেট ও ঔষধির চাষ করবেন।