Cooch Behar | আবারও প্রকাশ্যে হিপ্পি-সজল দ্বন্দ্ব 

Cooch Behar | আবারও প্রকাশ্যে হিপ্পি-সজল দ্বন্দ্ব 

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


পুণ্ডিবাড়ি: রবিবার নাম না করে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এবং উদয়ন গুহকে গিরগিটি ও দলবদলু আর অভিজিৎ দে ভৌমিককে (হিপ্পি) তোলাবাজ বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়। অন্যদিকে, বিধানসভাভিত্তিক কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে রোজ নতুন করে প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল।

সোমবার দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ তাঁর দলীয় কার্যালয়ে কোচবিহার উত্তর বিধানসভার কর্মী সম্মেলন নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে তিনি দলের অন্য নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেও কোচবিহার-২ ব্লকের সভাপতি সজল সরকারকে ডাকেননি বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পরেই হিপ্পি ও সজলের দ্বন্দ্ব যে আজও মেটেনি তা আরও একবার প্রমাণ হল। বিষয়টি নিয়ে সজল বলেন, ‘জেলা সভাপতি দলটাকে তাঁর নিজের সম্পত্তি মনে করছেন। তাই তিনি সবসময় পুরোনোদের বাদ দিয়ে কাজ করছেন।’ এরপরই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে তিনি জানান, কোচবিহার উত্তর বিধানসভা নিয়ে হিপ্পি যা কর্মসূচি করবেন তিনি তাঁর পালটা কর্মসূচি আয়োজন করবেন। কর্মী সম্মেলন নিয়ে তিনিও একটি পালটা বৈঠক ডাকবেন বলে জানান।

এদিনের বৈঠকে কোচবিহার-২ ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলের সভাপতি, চেয়ারম্যান, প্রধান, উপপ্রধান, ব্লক শাখা সংগঠনের সভাপতি, অঞ্চলে থাকা ব্লক কমিটির নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে দলের কোচবিহার-২ ব্লক সহ সভাপতি ক্ষিতীশচন্দ্র রায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর দে (ছন্দ), এসসি-এসটি সেলের চেয়ারম্যান পরেশ বর্মন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অনির্বাণ সরকার সহ আরও অনেকে ছিলেন। সজলের অনুপস্থিতি নিয়ে এদিন হিপ্পিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, এদিনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে দলে কোনও বিরোধ নেই বলে তাঁর দাবি। আর কারও সঙ্গে কোনও বিরোধ থাকলেও সেটা ব্যক্তিগত।এই বিষয়ে দলের ব্লক সহ সভাপতি ক্ষিতীশ বলেন, ‘এদিন আমি সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। এছাড়াও ১৩টির মধ্যে ১১টি অঞ্চলের সভাপতি, চেয়ারম্যান সহ আরও অনেকে ছিলেন। ব্লক সভাপতির বিষয়ে জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন দলের কাজে তার কোনও ভূমিকা নেই তাই তাঁকে ডাকার প্রয়োজন হয়নি।’

লোকসভা ভোটে তৃণমূল কোচবিহারের জেতার পরই হিপ্পি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সবক’টি আসনে জেতার সংকল্প নেন। এরপরেই বিধানসভাভিত্তিক কর্মীসভার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এরফল যে উলটো হয়েছে সেটা সকলেই এখন বুঝতে পারছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী যতই এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করুন অবস্থা যে এতটুকু পালটায়নি সেটা পরপর একাধিক ঘটনায় দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।

The put up Cooch Behar | আবারও প্রকাশ্যে হিপ্পি-সজল দ্বন্দ্ব  appeared first on Uttarbanga Sambad.



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *