উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৈঠকে বসেই রনংদেহি মূর্তিতে ধরা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত কড়া ভাষায় তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পে কোনও সরকারি আধিকারিক টাকা চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা (FIR) হবে।’
বুধবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ সরকারি প্রকল্পের জন্য টাকা চাইলে দেবেন না। সরকারি প্রকল্পে টাকা চাইলে সেই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে। অভিযোগ পেলে রাজ্যের সরকার শুধু এখানেই থেমে থাকবে না। টাকা চাওয়ার অভিযোগ সামনে এলে শুরু হবে তদন্ত। যে আইন ভাঙবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘প্রশাসন কোনওরকম দায়সারা কাজ করবে না। কাজে মন দিতে হবে আইসিদেরও। ব্লকে ব্লকে ঘুরতে হবে বিডিওদের। যেতে হবে মানুষের কাছে। শুনতে হবে তাঁদের অভাব অভিযোগ। ডিএম (DM), এসপিদের (SP) নিয়মিত ফিল্ড ভিজিট করতে হবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ, গত বছর রাজ্যজুড়ে যখন আবাসের (Awas Yojona) সার্ভে শুরু হয়, তখন রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। যা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বরই ক্ষুব্ধ। এমতাবস্থায় রাজ্যের তরফে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হলে নবান্ন (Nabanna) থেকে বেশকিছু হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়। সেই নম্বর দেওয়ার মূলত একটাই উদ্দেশ ছিল, জোড়াফুলের কোনও নেতা কিংবা সরকারি আধিকারিক কোনও প্রকল্পের জন্য টাকা চাইলে, তৎক্ষণাৎ সেই নম্বরে ফোন করে জানতে পারে। আবার ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ভাবমূর্তি আমজনতার কাছে স্বচ্ছ রাখতে কোনও রকম রিস্ক নেবেন না, তা এদিন আবারও স্পষ্ট করে দিলেন। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাওয়াই আদতে কতটা কাজে আসে?