মানিকচকঃ আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। আদালত তাকে অমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সামনে এল এক সিভিকের কুকীর্তি। ঝাড়ফুঁকের নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এবার নাম জড়িয়েছে মানিকচক থানায় কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাড়ি মানিকচক থানার অন্তর্গত একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। তাঁর বিয়ে হয়েছে মুর্শিদাবাদে। বিগত এক মাস ধরে সে নিজের বাবার বাড়িতে রয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা হয়। সেই সময় তাঁর মা এলাকার বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঝাড়ফুঁক করার জন্য ডাকেন। অভিযোগ সেই সময় সিভিক নির্যাতিতার মাকে নদী থেকে জল আনার কথা বলেন। সেই সুযোগেই বাড়িতে একা পেয়ে মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সিভিক ভলান্টিয়ার বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই জ্ঞান হারান নির্যাতিতা। জ্ঞান ফিরতেই সমস্ত বিষয় জানাই সে তাঁর মাকে। শুক্রবার সকালেই মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।
এবিষয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘মেয়ের পেটে ব্যথা হওয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডাকা হয়েছিল। এর আগেও পেটে ব্যথা হওয়ায় ঝাড়ফুঁক করেই ঠিক করেছিল সিভিকটি। কিন্তু এবার আমাকে নদী থেকে জল আনতে বলে। আমিও তার কথামতো জল আনতে চলে যাই। আমি ভাবিনি সিভিকের মনে কুমতলব রয়েছে। আমি বেরোনোর পরই মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সিভিক এলাকার রক্ষার দায়িত্ব থাকে কিন্তু এখানে ভক্ষকের ভূমিকা নিয়েছে। আমি অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তি চাই।’
এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার পাঠানো হয়েছে মালদহ জেলা আদালতে।