Changrabandha | অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, পদাতিকের স্টপেজ পেল নিউ চ্যাংরাবান্ধা  

Changrabandha | অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, পদাতিকের স্টপেজ পেল নিউ চ্যাংরাবান্ধা  

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


চ্যাংরাবান্ধাঃ অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে চ্যাংরাবান্ধাবাসীর। এখন থেকে নিউ চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে থামবে শিয়ালদাগামী পদাতিক এক্সপ্রেস। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই ট্রেনটির স্টপেজ দেওয়া হবে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া বইছে এই সীমান্তবর্তী এলাকায়।

উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা। এই চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত লেগেই থাকে। অথচ তাঁদের কলকাতা বা ভিনরাজ্যে যাওয়ার জন্য এতদিন কোনও দূরপাল্লার ট্রেন ছিল না। তাঁদের ট্রেন ধরতে হত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে। এবার থেকে চ্যাংরাবান্ধা সহ পুরো মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দাদের কলকাতা যাওয়ার জন্য আর অসুবিধে রইল না। এখন থেকে সীমান্ত শহরে থামবে শিয়ালদাগামী পদাতিক এক্সপ্রেস। যদিও ট্রেনটি চ্যাংরাবান্ধার ওপর দিয়ে গেলেও এতদিন কোনও স্টেপেজ ছিল না। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য ‌জনসংযোগ আধিকারিক কে কে শর্মা বলেন,”ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই পদাতিক চ্যাংরাবান্ধায় থামছে।”

রেলের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন, “প্ল্যাটফর্মে কাজ শেষ না হওয়ায় এতদিন চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে পদাতিকের স্টপেজ দেওয়া হয়নি। এইজন্য আমাদের সংসদ জয়ন্ত রায় রেলমন্ত্রকে নানা ভাবে দরবার করেছিলেন। অবশেষে সাফল্য এল। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে পদাতিক থামবে নিউ চ্যাংরাবান্ধায়। সেদিন সাংসদ থেকে শুরু করে রেলের আধিকারিক সকলেরই আসার কথা রয়েছে অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে চ্যাংরাবান্ধা যাতে আরও দূরপাল্লার ট্রেন পায়, সেটারও পরিকল্পনা রয়েছে।”

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়াই এলাকা জুড়ে। চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কুমার কানু বলেন, “ব্যবসার কাজ ছাড়াও বহু মানুষ প্রত্যেক দিন চিকিৎসা থেকে শুরু করে পড়াশোনা ও নানা কাজে চ্যাংরাবান্ধার বাইরে যাতায়াত করেন। এতদিন সরাসরি কলকাতায় যাওয়ার জন্য কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা ছিল না এখান থেকে। বেশিরভাগ মানুষকে বাসে করে গিয়ে জলপাইগুড়ি বা  শিলিগুড়ি গিয়ে ট্রেন ধরতে হত। এতে খরচ ও সময় দুই লাগে বেশি। তাই দীর্ঘদিন থেকে আমাদের দাবি ছিল পদাতিকের স্টপেজ চালু করার। এই খবর যেন আমাদের একটা স্বপ্ন পূরণের সাক্ষী। এটা শুধু চ্যাংরাবান্ধার জন্য নয়, মেখলিগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন এর দ্বারা উপকৃত হবেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *