অরিন্দম বাগ, মালদা: মালদার বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর হাইস্কুলে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে তাদের কথা শুনলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। আর রাজ্যপাল যখন ত্রাণ শিবিরের ভেতরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলছেন তখন বাইরে বহু স্থানীয় বাসিন্দা জমায়েত হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন। স্থানীয়দের দাবি ছিল তাদের ভেতরে যেতে দিতে হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরাও। সংবাদমাধ্যমকেও ভেতরে যেতে দেয়নি পুলিশ। তা নিয়েও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, সংবাদমাধ্যম না থাকলে কি কথা হল তা তারা কিছুই জানতে পারবেন না।
এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনেকেই পুলিশি ব্যারিকেড টপকে ক্যাম্পের মধ্যে ঢুকে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে চান। পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পরে পুলিশ চাপের মুখে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রায় ঘণ্টাখানেক শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। মুর্শিদাবাদে তাদের ওপর কতখানি নির্যাতন চালানো হয় তা রাজ্যপালকে জানান ঘরছাড়া মহিলারা। কেন্দ্রীয়বাহিনীর ক্যাম্প না হলে কোনোমতেই ঘরে ফিরবেন না বলে সাফ জানান আক্রান্তরা। শরণার্থীদের আস্বস্ত করে রেড ক্রস সোসাইটির কিছু অনুদান তাদের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, তাঁদেরকে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে। কোনও ভাবেই বাইরের কারও সঙ্গে দেখা কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল পারলালপুর হাইস্কুলের শরণার্থী শিবির। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, তাঁদের কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আশ্রয়শিবিরে গিয়েছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যেরা। তখনও একদফায় বিক্ষোভ হয়।