Burrabazar Hearth | ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ, বাজেনি অ্যালার্ম! বড়বাজার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দাবি দমকলের

Burrabazar Hearth | ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ, বাজেনি অ্যালার্ম! বড়বাজার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দাবি দমকলের

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন (Burrabazar Hearth)। কিন্তু কীভাবে হোটেলে আগুন লাগল তা নিয়ে প্রথম থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ঘটনাস্থলে যান দমকলের ডিজি রণবীর কুমার। এরপরই তিনি জানান, ২০২২ সালের পর ওই হোটেলের ফায়ার লাইসেন্স (Hearth license) আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। এমনকি অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলে ফায়ার অ্যালার্মও (Hearth alarm) বাজেনি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও সেটি অগ্নিকাণ্ডের সময় কাজ করেনি।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। বিগত কয়েকমাস ধরে হোটেলের অধিকাংশ জানলা ইট-সিমেন্ট দিয়ে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এই কাজ করা হয়েছে বা এর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। সেই সঙ্গে হোটেলের দোতলায় প্লাইউডের কাজ চলছিল। সেখান থেকেই আগুন এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আর হোটেল পুরোপুরি বদ্ধ অবস্থায় থাকায় ধোঁয়া বাইরে বেরোতে পারেনি। সেই কারণেই দমবন্ধ হয়ে এতজন আবাসিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান। এমনকি হোটেলটিতে কেন্দ্রীয় বাতানুকূল ব্যবস্থা বা সেন্ট্রাল এসি নেই। তারপরেও কেন অধিকাংশ জানলা বুজিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির ওই হোটেলে আগুন লাগে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেলের মালিক। কিন্তু অনিয়ম সত্ত্বেও হোটেলটি কীভাবে চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুর প্রশাসনের ভূমিকাও। ইতিমধ্যেই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দমকল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *