বালুরঘাট: ফের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা বিজিবির। এর আগে বালুরঘাটের শিবরামপুরে কাঁটাতার বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাধা সৃষ্টি করে বিজিবি। এবার ভুলকিপুরেও কাঁটাতার দিতে বাধা দিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভুলকিপুর সীমান্ত। সেখানেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে পুরো গ্রাম। যেখানে প্রায় ৫৭ টি আদিবাসী পরিবারের বাস। সকলের জীবিকা কৃষিকাজ। এই এলাকায় প্রায় গোটাটায় কাঁটাতার থাকলেও কয়েকশো মিটার অরক্ষিত আছে। সেখানে কাঁটাতার দেওয়া নেই৷ সেই জায়গা ঘিরে দিয়ে ওপারে থাকা ভারতীয় গ্রামকে সীমান্তের এপারে নিয়ে আসতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চিন্তাভাবনা করে বিএসএফ। এর জন্য বেশ কয়েকবার মাপজোক হয়। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে পিলার পোঁতার কথা ছিল বিএসএফের।
ঠিকাদার কাজ শুরু করতেই তা আটকে দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, চাষের জমি নষ্ট না করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পতিত জমি দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হোক। এতে একদিকে যেমন তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। ঠিক তেমন তাদের চাষের জমির ক্ষতিও হবে না। পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা কথা বলে শুক্রবার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এদিন সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে তা বন্ধ করে দেয় বিজিবি। তাদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে থেকে তাদেরকে কোন রকম নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাই সীমান্তে কাঁটাতার কোন ভাবেই দেওয়া যাবে না। উত্তেজনা তৈরী হতেই ঘটনাস্থলে যায় ১২৩ ব্যাটেলিয়নের বিএসএফের আধিকারিকরা। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হেমন্ত মুর্মু বলেন, আজ সকাল থেকেই কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল শ্রমিকরা। সেই সময় কাজ বন্ধ করে দেয় বিজিবি। বর্তমানে সীমান্তে কাউকেই যেতে দিচ্ছে না বিএসএফ।
এবিষয়ে অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন জানান, এটি কেন্দ্র সরকার ও বিএসএফের বিষয়। তাই এনিয়ে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে গ্রামবাসীদের কোন প্ররোচনায় পা না দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’