Beijing | নকল সূর্য বানিয়ে চমকাল চিন

Beijing | নকল সূর্য বানিয়ে চমকাল চিন

শিক্ষা
Spread the love


বেজিং: এক বাঙালি কবি স্বপ্ন দেখেছিলেন সূর্যের দেশে যাওয়ার। কবির চেয়েও একধাপ এগিয়ে নকল সূর্য তৈরি করে ফেলে গোটা বিশ্বকে চমকে দিল চিন।

ভারতের পড়শি এই অন্যতম মহাশক্তিধর দেশটি তাদের পরমাণু সংযোজন প্রযুক্তি (নিউক্লিয়ার ফিউশন) উন্নয়নে আর এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে। ‘এক্সপেরিমেন্টাল অ্যাডভান্সড সুপারকনডাক্টিং টোকাম্যাক’ (ইস্ট), যা ‘কৃত্রিম সূর্য’ নামে পরিচিত, ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক হাজার সেকেন্ড ধরে প্লাজমা স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। ‘প্লাজমা স্থিতিশীল রাখা’র অর্থ, উচ্চ তাপমাত্রায় গ্যাসীয় পদার্থকে এমন একটি অবস্থায় রাখা যেখানে পরমাণুগুলির ইলেক্ট্রন আলাদা হয়ে যায় এবং পদার্থটি আধানযুক্ত কণায় (আয়ন ও ইলেক্ট্রন) পরিণত হয়। এই অবস্থাকেই প্লাজমা বলে। এর আগে ২০২৩ সালে ৪০৩ সেকেন্ড ধরে প্লাজমা স্থিতিশীল রাখার রেকর্ড ছিল চিনের।

সূর্যের আয়ু ফুরিয়ে গেলে পৃথিবীর কী হবে, তা নিয়ে বহুদিন ধরেই ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। সেই ভাবনা থেকেই ‘কৃত্রিম সূর্য’ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিল চিন। পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি না করে, বিদ্যুতের ঘাটতিপূরণের লক্ষ্যও ছিল। আর তাতেই এবার বড় সাফল্য অর্জন করেছে তারা। চায়না অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর ইনস্টিটিউট অফ প্লাজমা ফিজিক্সের পরিচালক সং ইয়ুনতাও জানিয়েছেন, ‘একটি সংযোজন ডিভাইসের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভবিষ্যতের পরমাণু সংযোজন কেন্দ্রগুলিতে ধারাবাহিক শক্তি উৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যক।’ তাঁর আশা, ইস্ট-এ আন্তর্জাতিক সহায়তা মিলবে এবং এর মাধ্যমে ফিউশন এনার্জিকে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *