খড়িবাড়ি : ফের নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধৃত দুই বাংলাদেশি। সীমান্তের পুরোনো মেচি সেতু দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শনিবার দুপুরে এসএসবির পানিট্যাঙ্কির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের বর্ডার ইন্টারঅ্যাকশন টিম তাঁদের আটক করে। ধৃতদের নাম মহম্মদ নুর হোসেন খন্দকার (৪১) ও মহম্মদ ওমর ফারুক আরমান (২৭)। নুর হোসেনের বাড়ি বাংলাদেশের পরশুরাম পুরসভা এলাকায়। ওমর ফারুক বাংলাদেশের মাদিপুর সদরের বাসিন্দা বলে এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে এসএসবি। তাঁদের কাছে ভারতে প্রবেশের কোনও পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসএসবি জানতে পারে, মহম্মদ নুর হোসেন খন্দকার এক দালালের মাধ্যমে ত্রিপুরার সিলেট সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকেন। ৮-৯ মাস আগে দালালের সঙ্গে ভারত হয়ে নেপালে যান তিনি। দালাল তাঁকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রোমানিয়ায় মোটা টাকার চাকরি জুটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সোহাগ নামে বাংলাদেশের ওই দালাল তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে চম্পট দেওয়ায় নুর নেপালে আটকে যান।
অপরদিকে, ওমর ফারুক ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে বিমানে কাঠমান্ডু আসেন। তাঁকে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফ্রান্সে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নিসরুদ্দিন নামে অপর এক দালাল। ওমরের পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এসএসবি আধিকারিকরা জানান, নেপালে ধৃতদের পরিচয় হয়েছিল। তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ভারতের ফণী রায় নামে এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই দালাল নেপালি ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁদের নীলফামারি সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নেপালি টাকা ভাঙাতে গিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান দালাল ফণী রায়। অগত্যা কিছু বুঝে উঠতে না পেরে উভয়ে একটি টোটোয় চেপে কাঁকরভিটা থেকে পুরোনো মেচি সেতু দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিলেন। সেই সময় এসএসবি তাঁদের ধরে ফেলে। শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই বাংলাদেশিকে খড়িবাড়ি থানার হাতে তুলে দেয় এসএসবি।
ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘এসএসবির অভিযোগের ভিত্তিতে দুজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’ ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করে ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। বাংলাদেশিদের ভারতের ঢোকার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’