রূপক সরকার, বালুরঘাট: চুরিতে বাধা দেওয়ায় এক বৃদ্ধাকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী তরুণের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গ্রামে। আক্রান্ত বৃদ্ধার নাম এলাসি মাহালি (৭০)। অভিযুক্ত গুলিয়াস মাহালি (৩০)-র বাড়ি ওই এলাকাতেই। রবিবার ভোরে তাকে ধরে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দিয়েছেন গ্রামবাসী। পরে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে, মারধরে গুরুতর জখম ওই বৃদ্ধাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাসি মাহালি বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁর চার ছেলেমেয়ে। তবে তাঁরা বাইরে থাকেন। সম্প্রতি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন ওই বৃদ্ধা। দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকার প্রায় অর্ধেকটা খরচ করেছেন তিনি। বাকি টাকা ঘরেই ছিল। তার উপর নজর ছিল প্রতিবেশী তরুণ গুলিয়াসের। তক্কে তক্কে ছিল সে। শনিবার রাতে সুযোগ বুঝে বৃদ্ধার ঘরে ঢোকে ওই তরুণ। সে আবাসের টাকা চুরির চেষ্টা করতেই ঘুম ভেঙে যায় এলাসির। চুরিতে বাধা দেন তিনি। অভিযোগ, তখন তাঁকে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতী। বৃদ্ধাকে মারধরও করা হয়। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখান এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। রবিবার ভোররাতে প্রতিবেশীরা তাকে পাকড়াও করে। গাছে বেঁধে চলে গণপিটুনি। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে চিঙ্গিশপুরে। ধৃত গুলিয়াস মাহালি সারাক্ষণ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে। তার বিরুদ্ধে আগেও দুষ্কর্মের অভিযোগ উঠেছিল।
এবিষয়ে বৃদ্ধার আত্মীয় গৌতম মাহালি বলেন, ‘রাতে হঠাৎ এলাসির চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে যাই। গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। এমনকি কথাও বলতে পারছিলেন না। অভিযুক্ত তাঁর গলা টিপে ধরায় ফুলে গিয়েছে। মারধরও করা হয়েছে। আমরা ওঁকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সেখানেই ওঁর চিকিৎসা চলছে।’
অন্যদিকে, বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’