সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরে যখন পহেলগাঁওয়ে একের পর এক পর্যটককে মেরে ফেলার সময় হাসছিল জঙ্গিরা। শীতলবেন কলথিয়া এখনও চোখের সামনে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন সেই অভিশপ্ত দুপুরে কীভাবে তাঁর স্বামী শৈলেশকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। আর সেই সময়ও তারা হাসছিল। সেই বীভৎস স্মৃতি তাড়া করে ফিরছে শীতলবেনকে। নিজের সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
গুজরাটের বাসিন্দা শীতলবেন। স্বামীর দেহ যখন শেষবারের মতো বাড়ি থেকে পাড়ি দিয়েছে অন্তিম যাত্রায়, কার্যতই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে গিয়ে ফিরতে হল স্বামীর নিথর দেহ সঙ্গে করে! পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সেদিনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। বলেন, ”একটা জঙ্গি আমাদের কাছে এল। আর যেই জানতে পারল আমার স্বামী হিন্দু, তখনই গুলি করে দিল। আমার স্বামীর মতোই অন্য হিন্দু পুরুষদেরও তাঁদের সন্তানদের সামনেই মেরে ফেলা হয়। আমার স্বামীকে যখন গুলি করল ওরা হাসছিল। আর ও মারা না যাওয়া পর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। অন্তত মৃতের সংখ্যার নিরিখে। সূত্রের দাবি, মৃতদের মধ্যে দু’জন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর ‘কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছে নয়াদিল্লি। বাতিল করা হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারত এবং পাকিস্তান-দুই দেশের হাই কমিশন থেকেই সরিয়ে নেওয়া হবে সামরিক পরামর্শদাতাদের। এই পরিস্থিতিতে চড়ছে পারদ।