জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সাতসকালে মেমারিতে প্রৌঢ় দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের ইঞ্জিনিয়ার ছেলের। অভিযোগ, সন্ধেয় বনগাঁর মাদ্রাসায় ব্যাপক তাণ্ডব চালাল ওই অভিযুক্তই। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। কেন বাবা-মাকে খুনের পর প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এসে হামলা চালাল যুবক, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। কী কারণে বাবা-মাকে খুন, আর কেনই বা বনগাঁয় হামলা, কারণ মোটেও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, মেমারি থেকে বনগাঁয় আসছেন ৬ তদন্তকারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসায় পড়াশোনা চলছিল। সেই সময় এক ব্যক্তি হঠাৎই মাদ্রাসার ভিতর ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উপস্থিত শিক্ষক ও পরিচারকদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
অভিযুক্ত যুবককে আটক করে বনগাঁ থানার পুলিশ।
এদিকে, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মাদ্রাসার সামনেই বনগাঁ-বাগদা সড়ক অবরোধ শুরু করে স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বনগাঁ থানার আইসি শিবু ঘোষ। আবার একদল উত্তেজিত জনতা বনগাঁ থানায় যায়। ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ থানার টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করা হয় ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্মী জখম হন৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক হুমায়ুন কবীর। বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা। বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “হুমায়ুন বুধবার সকালে বাবা-মাকে খুন করেছে বনগাঁয় পালিয়ে আসে ৷ সে আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কী কারণে তাণ্ডব চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।” থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।