সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে ভারতের উত্তরপ্রান্তের রাজ্যটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। ২৬ পর্যটককে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছে জেহাদিরা। এই জঙ্গি হামলায় শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা, ইজরায়েল, ইতালি, রাশিয়া। অভিযোগের আঙুল উঠেছে যে পাকিস্তানের দিকে, শোকপ্রকাশ করেছে তারাও। আর তার পরেই শোকবার্তা দিয়েছে চিন। এই মুহূর্তে সস্ত্রীক ভারত সফরে রয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তিনিও এই নারকীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
দেশ ছাড়ার পর তিনি বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে তিনি ‘মানবসভ্যতার বুকে ক্ষত চিহ্ন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘কাশ্মীরে যে জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে তা মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার প্রধানতম অন্তরায় এবং মানবসভ্যতার বুকে ক্ষত চিহ্ন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবিক সমাজ গড়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় সমর্থন বজায় রাখবে।
আমরা নীতিগতভাবে এ ধরনের জঙ্গি-সন্ত্রাসী মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছি।’ শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুস। দিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার নিন্দা করে সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
ভারতে অবস্তিত ইজরায়েলের দূতাবাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘পহেলগাঁওয়ের নৃশংস জঙ্গি হামলায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইজরায়েল ভারতের পাশে সর্বতোভাবে রয়েছে।’
ভারতের দাঁড়িয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের এই সন্ত্রাসী হামলা ভয়াবহ। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা ভারতের পাশে রয়েছি। আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ‘পহেলগাঁওয়ের এই নৃশংস অপরাধের নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই। বহু নিরীহ মানুষ এই জঙ্গি হামলার শিকার। আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।’