বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া চার তৃণমূল কর্মীকে ফের জেলা পাঠানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘এই ঘটনা দেশের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ।’ সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই চার তৃণমূ্ল কর্মীকে আত্মসমর্পনের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ওই চারজনের মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান করতে হবে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর নানা অশান্তি শুরু হয় জেলায় জেলায়। তারই মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে বীরভূমের সদাইপুরে। বিরোধীদের একের পর এক ঘর, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। গেরুয়া শিবিরের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে চার তৃণমূ্ল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ ছিল, এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও মহিলার শ্লীলতাহানি। ২০২২ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়। কিন্তু শুনানি শুরু না হওয়ায় অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তরা বাইরে থাকলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারে এবং সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে বয়ান বদল করাতে পারে। সিবিআইয়ের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা অভিযুক্তদের জামিন বাতিল করে ফের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজিকে আক্রান্ত সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।