সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর আগেও সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন দুই দেশ। কিন্তু এবার ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করার অভিসন্ধিতে ইরানে গেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বৈঠক করলেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা সইদ আলি খামেনেই ও অন্য শীর্ষনেতাদের সঙ্গে। কিন্তু লাভের লাভ কি কিছু হল?
পাকিস্তান ওই বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত এবং কাশ্মীর ইস্যুর কথা তুলে ধরলেও প্রকাশ্যে খামেনেই এই নিয়ে তেমন কিছু বলেনননি। কেবল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর আশা, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটবে অচিরেই। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘তেহরান টাইমস’ দাবি করেছে, পশ্চিমী বিশ্বের চাপ সত্ত্বেও ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করে প্যালেস্টাইনের পাশে থাকার যে পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান তার প্রশংসা করেছেন খামেনেই। পাশাপাশি নাম না করে সৌদি আরবের মতো দেশগুলিকে বিঁধে তাঁর দাবি, ”দুর্ভাগ্যবশত, কোনও কোনও ইসলামিক সরকার ইহুদি দেশের পাশে থাকছে।” বলে রাখা ভালো, সৌদির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পথ চলতে হয় পাকিস্তানকে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব নিয়ে সৌদি ও ইরানের দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে তেহরানের হাত ধরতেও আপত্তি নেই ইসলামাবাদের।
তবে গাজা ইস্যুতে পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানালেও ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে ইরান কিন্তু সংযমী মন্তব্যই করেছে। ফলে শাহবাজ-মুনিরদের উদ্দেশ্য যে সেভাবে সফল হয়নি তা বলাই যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের দাবি, শাহবাজ শরিফ ইরানের সঙ্গে বৈঠকেও দাবি করেছে, তারা শান্তি চায়। এবং শান্তি ফেরাতে আলোচনার টেবিলে বসতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। প্রসঙ্গত, এর আগেও বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু সেই সঙ্গে পাক মদতে সন্ত্রাসের ঘটনাও ঘটেছে। ভারত বারবারই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।