বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে দেব-রুক্মিণী, বাংলা ছবিতে বড় লগ্নি টানতেই ‘দিদি’র ডাকে হাজির জুটি?

বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে দেব-রুক্মিণী, বাংলা ছবিতে বড় লগ্নি টানতেই ‘দিদি’র ডাকে হাজির জুটি?

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে বক্স অফিসে অপ্রতিরোধ্য ‘খাদান’। উপরন্তু নতুন ছবি ‘রঘু ডাকাত’-এর জন্য কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন দেব। অন্যদিকে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স প্রযোজিত রুক্মিণী মৈত্রর ‘বিনোদিনী’ও প্রেক্ষাগৃহে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছে। লক্ষ্মীবারে টলিউডের সেই সফল ‘লক্ষ্মী জুটি’কেই দেখা গেল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2025 ) মঞ্চে।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে প্রথম সারিতে ছিলেন দেব। ঠিক পিছনের আসনেই বসে রুক্মিণী মৈত্র। বাংলা সিনেশিল্পের ইতিহাস সুদীর্ঘ। শুধু তাই নয়, বাংলা সিনেজগতে মেধা, অভিনয় দক্ষতা, পরিচালন ক্ষমতা, গান, সুর, কোনও কিছুরই খামতি নেই। তবে দুঃখের বিষয়, দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রি কিংবা বলিউডের মতো বিগবাজেট সিনেমা করতে টলিউড অপারগ। এখানে মোটা বাজেটের সিনেমা বলতে যা বোঝায়, সেটা বলিউড কিংবা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সিনেমার বাজেটের কাছে নস্যিমাত্র! উপরন্তু প্রায়দিনই গিল্ড কিংবা ফেডারেশন দ্বন্দ্বে জর্জরিত পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়ে টলিপাড়া। সম্ভবত সেই কারণেই বাংলা সিনেমায় বড় লগ্নি টানতে টলিউডের তারকাজুটি দেব-রুক্মিণীকে (Dev- Rukmini) মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাণিজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দর্শকাসনে বসে থাকা মন্ত্রীদের মঞ্চে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে দেখা যায় দেব-রুক্মিণীকেও। জানা গেল, বাণিজ্য সম্মেলনের এক পার্শ্ব বৈঠকেও বক্তৃতা দেন ‘বিনোদিনী’ রুক্মিণী মৈত্র। টলিউডের পাশাপাশি মুম্বইতেও কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি আবার তাঁর সিনেমা দেখে প্রশংসা এসেছে আশুতোষ গোয়ারিকরের মতো পরিচালকের তরফে। এদিন উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার অন্যতম অভিভাবক গৌতম ঘোষও। বাণিজ্য সম্মেলনের এক বক্তৃতায় পরিচালক বাংলার নৈসর্গিক লোকেশনের কথা তুলে ধরেন সকলের কাছে। গৌতম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রাকৃতিক ভাবে ঐশ্বর্যশালী। হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল, প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়েছে বাংলাকে। ফিল্ম মেকাররা এখানে ছবি বানাতে আসতে পারেন। কো-প্রোডাকশনেরও সুযোগও পেয়ে যাবেন তাঁরা। সারা বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে যেভাবে লালন করার চেষ্টা করেন, তার জন্যে আমরা কৃতজ্ঞ। অতঃপর বাংলার সিনে শিল্পেও যে লগ্নির বড় সুযোগও রয়েছে, সেকথাই শোনা যায় পরিচালকের মুখে। সেই সুর রুক্মিণীর গলাতেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *