সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে নগদ উদ্ধার কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস কমিটির তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পেয়েছে ওই তদন্ত কমিটি। সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই ওই তদন্ত কমিটি বিচারপতি বর্মার অপসারণের সুপারিশ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
বিচারপতি বর্মার বাড়িতে প্রচুর নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। দোলের ছুটি চলাকালীন বিচারপতি বর্মার বাড়িতে আগুন লাগে। তখনই তাঁর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ পান দমকল কর্মীরা। এরপর বিচারপতির বাড়ির কাছে রাস্তা থেকেও পাঁচশো টাকার পোড়া নোট উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত ওই অর্থের উৎস জানা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষ আদালতের ইন হাউস কমিটি পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। যদি ওই কমিটি মনে করে কোথাও বেনিয়ম হয়েছে, তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গড়েছে, সেই কমিটি মোট ৬৪ পাতার রিপোর্ট তৈরি করেছে। মোট ৫৫ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিচারপতি বর্মার সরকারি বাসভবনে গিয়ে তদন্ত করেছেন। তদন্তের ভিত্তিতে তাঁদের দেওয়ার রিপোর্ট বলছে, বিচারপতি বর্মার বাড়ির স্টোররুমে টাকা উদ্ধারের প্রমাণ মিলেছে। ওই স্টোররুমটি শুধু বিচারপতি বর্মার পরিবারের লোকেরাই ব্যবহার করতেন। বাইরের কেউ বিনা অনুমতিতে সেখানে প্রবেশ করতে পারত না।
সুপ্রিম কোর্টের ওই কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিচারপতি বর্মাকে ইমপিচ করার সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ওই রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা পড়ার পরই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্বাধীন ভারতে এর আগে কোনও হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে ইমপিচ করা হয়নি। বিচারপতি বর্মাই সম্ভবত প্রথম বিচারপতি হিসাবে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে চলেছেন।