ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বাড়ি বসেই পাওয়া যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ। দিনক্ষণও ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। এবার সেই সময়সূচিতে বদল এল। প্রথমে কথা ছিল, ১৭ জুন থেকে ২৭ জুনের মধ্যে জগন্নাথের প্রসাদ বিলি করা হবে। নতুন সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৭ নয়, ২০ জুন থেকে মহাপ্রসাদ বিলি শুরু হবে। ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রসাদ পৌঁছে যাবে বাড়ি-বাড়ি।
সোমবারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘দুয়ারে রেশন’-এর মাধ্যমে ঘরে-ঘরে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ পৌঁছে যাবে। জগন্নাথ দেবের প্রসাদ পেতে নিজের রেশন ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেশন কার্ড সক্রিয় করার কথাও বলা হয়েছে। ‘দুয়ারে রেশন’ ব্যবস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ঘরে-ধরে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিলারদেরও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে।
মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের সামনে নিবেদন করা হয়েছিল ৩০০ কেজি খোয়া ক্ষীরের মহাপ্রসাদ। তারপর তা জেলায়-জেলায় বিতরণের জন্য রওনা দেয়। প্রত্যেক জেলাশাসকের নির্দেশ মতো প্রতিটি ব্লকে মিষ্টি তৈরির জন্য ময়রাদের নামের তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই গজা ও পেঁড়া বানানো হবে। সঙ্গে আলাদা একটি সন্দেশ, সেই সন্দেশেই মিশবে প্রসাদি খোয়া ক্ষীর। প্রসাদের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দিরের একটি ছবিও থাকবে বাক্সে। পুরো প্যাকেজিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্বনির্ভর গোষ্ঠী। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে জেলায় জেলায় সড়কপথে এবং উত্তরবঙ্গে বিমানের মাধ্যমে প্রসাদ পৌঁছবে ও রেফ্রিজারেটেড বাক্সে। তার পর সেখান থেকে রেশন দোকানের মাধ্যমে তা গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
প্রথমে ঠিক ছিল, প্রসাদী বাক্স বিলি হবে রেশন দোকান থেকে। পরে দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে প্রসাদ বিলির কথা ঠিক হয়েছে।