বাড়িতে টাকার পাহাড়, বিতর্কিত বিচারপতিকে ডিউটি থেকে সরাল দিল্লি হাই কোর্ট, জোরাল মামলা দাবি

বাড়িতে টাকার পাহাড়, বিতর্কিত বিচারপতিকে ডিউটি থেকে সরাল দিল্লি হাই কোর্ট, জোরাল মামলা দাবি

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কাড়ি কাড়ি পোড়া টাকা। সেই বিতর্কিত বিচারপতিকে আপাতত সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিল দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতিদের রস্টার থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এখানেই শেষ নয়, বিতর্কিত ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবিও জোরাল হচ্ছে।

বিচারপতি যশবন্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায়। নজিরবিহীনভাবে সেই রিপোর্ট আপলোড করা হয়েছে শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে। সেখানে দেখা গিয়েছে, পোড়া নোটের স্তূপ রয়েছে বিচারপতি যশবন্তের বাসভবনে। জানা গিয়েছে, বিচারপতি যশবন্তের বাংলোর গুদামে বোঝাই ছিল বিপুল নোটের তাড়া। আগুন লাগার পর সেগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিচারপতি যশবন্ত। তাঁর দাবি, “পুরোটাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। ওই ঘরে প্রচুর জিনিস থাকত, বেশ কিছু নথিপত্রও ছিল। আমার বাড়ি থেকে ওই ঘরটি সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকেই ওখানে যাতায়াত করত। তাছাড়া বাড়িটিতে আমার পরিবারের কারও সেভাবে যোগাযোগও থাকত না।” ওই বিচারপতির দাবি, তিনি বা তাঁর পরিবারের সবাই অনলাইনে বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই লেনদেন করেন। এই টাকার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক তাঁদের নেই।

যদিও বিচারপতির ওই দাবিতে ডাল গলছে না। বরং তাঁর শাস্তির দাবি জোরালো হচ্ছে। আইনজীবী মহলের প্রশ্ন, কেন ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে না? সুপ্রিম কোর্টে সেই দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। আইনজীবী ম্যাথুজ নেদুম্পরার দায়ের করা ওই মামলায় দাবি করা হয়েছে, বিচারপতিরা যেভাবে সরাসরি ফৌজদারি মামলা থেকে যে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে, সেটাও পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এর মধ্যেই বিচারপতি বর্মাকে ডিউটি রস্টার থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বিচারপতি বর্মাকে তাৎক্ষণিক দ্রুততার ভিত্তিতে তাঁর সব কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যতদিন না নতুন কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ততদিন তিনি কাজে যোগ দিতে পারবেন না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *