বকেয়া ৪০০ কোটি! কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এ চিকিৎসায় ‘না’ হরিয়ানার ৬০০ হাসপাতালের

বকেয়া ৪০০ কোটি! কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এ চিকিৎসায় ‘না’ হরিয়ানার ৬০০ হাসপাতালের

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতে টাকা মেটাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। দিনে দিনে জমেছে বকেয়ার পাহাড়। এই পরিস্থিতিতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিল হরিয়ানার ৬০০টি বেসরকারি হাসপাতাল। অবিলম্বে বকেয়া টাকা না মেটালে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পরিষেবা বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর হরিয়ানা শাখা।

হরিয়ানার প্রায় ১৩০০টি হাসপাতালে আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুগ্রামের ৬০ টি বেসরকারি হাসপাতাল-সহ মোট বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬০০টি। গোটা হরিয়ানায় এই স্বাস্থ্যবিমার গ্রাহক সংখ্যা ১.২ কোটি। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আইএমএ-র হরিয়ানা শাখার সভাপতি মহাবীর জৈন জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলির বকেয়া মাসের পর মাস ধরে বাকি রয়েছে। এই বিরাট বকেয়ার জন্য পরিষেবা চালু রাখতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে। তিনি বলেন, “প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। যদি হাসপাতালগুলি টাকা না পায়, তা হলে সেগুলি চলবে কী ভাবে!” এদিকে ৬০০টির বেশি হাসপাতাল যদি এই সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে হরিয়ানার স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেসরকারি হাসপাতালের তরফে এহেন হুঁশিয়ারি প্রকাশ্যে আসার পর তৎপর হয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের এই বিরাট বকেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি নিজে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। মোটা অঙ্কের বকেয়া ছিল ঠিকই তবে গত ২৬ জানুয়ারি ৭৮৬ কোটি টাকা বকেয়া শোধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনও ২০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে শীঘ্রই তা মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। যার মাধ্যমে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় কেন্দ্র। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পে বড়সড় রদবদল করে কেন্দ্র। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। ২০১৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের গ্রাহক হয়েছেন প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ। তবে বাংলায় বহু আগে থেকে একই ধারার প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’ থাকার কারণে এই প্রকল্প বাংলায় চালু করেননি মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এই প্রকল্প পাওয়ার শর্তে রয়েছে বহু বিধি নিষেধ যা ‘স্বাস্থ্যসাথী’তে নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *