পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় মৃত কলকাতার বাসিন্দা, স্ত্রীকে ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় মৃত কলকাতার বাসিন্দা, স্ত্রীকে ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


কৃষ্ণকুমার দাস: কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাঙালি পর্যটকের। এ পর্যন্ত যাঁদের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। বাড়ি পাটুলির বৈষ্ণবনগরে। মৃতের স্ত্রী সোহিনী অধিকারীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যক্তিগতভাবে সোহিনীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। ইতিমধ্যেই বিতানের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ বিধানসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিতান। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক এখন থাকেন ফ্লোরিডায়। ১৬ এপ্রিল স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। জঙ্গি হামলার সময় বিতান পহেলগাঁওয়ের ওই রিসর্টে ছিলেন। জেহাদি হামলার বলি হতে হয় ৪০ বছরের ওই যুবককে। তবে তাঁর স্ত্রী সোহিনী ও সন্তান রিদান সুস্থ রয়েছেন।ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের নিজে বিতানের স্ত্রী সোহিনীকে ফোন করেছেন। সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সোহিনী। এই বিপদের দিনে সমস্তরকমভাবে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে বিতানের টালিগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনিও সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শ্রীনগরে ময়নাতদন্তের পর দেহ ফিরবে রাজ্যে।কত দ্রুত দেহ রাজ্যে ফেরানো যায় সেই চেষ্টা করছে প্রশাসন। রাজ্যের তরফে দিল্লির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃতের বাড়িতে গিয়ে অরূপ বিশ্বাস সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে ফোনে জানিয়েছেন, “পুরো বিষয়টিই মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন। প্রশাসন সবরকমভাবে ওঁর পরিবারের পাশে আছে।”

উল্লেখ্য, বেসরকারি হিসাব বলছে, পহেলগাঁও হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। অন্তত মৃতের সংখ্যার নিরিখে। সূত্রের দাবি, মৃতদের মধ্যে দুজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *