রাজা দাস, বালুরঘাট: শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। সোমবার উদ্ধার হল মৃতদেহ। ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার মোহনা জহরাপুকুর এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কুমারগঞ্জের তাজপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা বালুপাড়া নিবেদিতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শুক্রবার সে বাড়ি থেকে সামান্য দূরের একটি দোকানে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল। তবে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে। রাতে মেয়েকে না পেয়ে কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাবা অমিত হাঁসদা। পুলিশ তদন্তে নেমে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়।
আজ সোমবার সকালে ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের একটি পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ওই পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। মৃতের শরীরের উপরের অংশে কোনও পোশাক ছিল না। মৃতদেহ উদ্ধারের পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুমারগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের।
মৃতার বাবা অমিত হাঁসদা বলেন, “শুক্রবার বিকেলে মেয়ে উদল বাজারে যায়। কিন্তু আর ফেরেনি। সেখান থেকে মেয়েকে অপরাধীরা কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করে খুনের পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে।” অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। কুমারগঞ্জ থানার আইসি রামপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, “পুকুরে একটি দেহ ভাসছিল। মৃতদেহ শনাক্ত করেছে পরিবার। দিন তিনেক আগে কিডন্যাপের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যাবে।”