অভিরূপ দাস: মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করেই ‘এফআরসিপি’ ডিগ্রি ব্যবহার করছেন! এই মর্মে ডাক্তার শান্তনু সেনকে নোটিস পাঠাল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। শুধু রেজিস্ট্রেশন না করে ডিগ্রি ব্যবহার নয়, মেডিক্যাল কাউন্সিলের আরও অভিযোগ ডিগ্রির বিষয়টি স্পষ্ট করে প্রফেশনাল লেটার হেডে লেখেননি ডাঃ সেন। এতে সাধারণ মানুষকে এক প্রকার ভুল বোঝানো হচ্ছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নোটিসে বলা হয়েছে, ‘‘ডা. শান্তুনু সেনের প্রফেশনাল লেটারহেডে এফআরসিপি (গ্লাসগো) ডিগ্রি ব্যবহার করা হলেও তা মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড নেই। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট এর সেকশন ২৬ অনুযায়ী যে কোনও ডিগ্রি মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ায় নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক।’’
নোটিসে আরও বলা হয়েছে, ‘‘প্রমাণ হিসেবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যদের কাছে যে সার্টিফিকেট ডা. শান্তনু দেখিয়েছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে আদতে ডাঃ সেনের সার্টিফিকেটে ডিপ্লোমা অফ ফেলোশিপ এফআরসিপি (গ্লাসগো)। কিন্তু লেটারহেডে কোথাও লেখা নেই এই ডিপ্লোমা অফ ফেলোশিপ বিষয়টি।’’ ডা. শান্তনু সেনকে দোষী সাব্যস্ত করে মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে, রোগীদের এবং সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাতে প্রফেশনাল লেটারহেডে কোথাও লেখা নেই ডিপ্লোমা অফ ফেলোশিপ এফআরসিপি (গ্লাসগো)। তার জায়গায় শুধুমাত্র লেখা আছে এফআরসিপি (গ্লাসগো)।
কেন এমনটা হল? রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পেনাল, এথিকাল কমিটি ২১ দিনের মধ্যে তা নিয়ে লিখিত জবাব চেয়েছে ডাক্তার শান্তুনু সেনের কাছে। প্রয়োজনে মেডিক্যাল কাউন্সিলে উপস্থিত হয়েও নিজের মতামত জানাতে পারেন তিনি। যদি তিনি অনুপস্থিত থাকেন সেক্ষেত্রে কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই সর্বজনগ্রাহ্য হবে। যদিও শান্তুনু সেনের দাবি, ”ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ কত নিচে নামতে পারে এটা তারই প্রমাণ। আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমার সঙ্গে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত অনৈতিক। লিখিতভাবে আমি পেনাল এথিকাল কমিটির কাছে সব জানিয়েছি। তার পরেও আবার চিঠি দিয়েছি। আমি একুশ দিনের অনেক আগেই প্রমাণ করে দেব, এটা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ।”