রাজা দাস, বালুরঘাট: বাড়িতে দিনভর পুজোয় মেতে থাকার জের। ডাইনি অপবাদে আদিবাসী বৃদ্ধাকে গ্রামে ঘুরিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুরে। আতঙ্কে ঘরছাড়া গোটা পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেপথ্যে উঠে আসছে, জমি হাতানোর চেষ্টার তত্ত্ব।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুরে বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধা। তাঁর সঙ্গেই থাকেন মেয়ে ও দুই নাবালক নাতি-নাতনি। বাড়িতে দিনভর পূজাপাঠ নিয়েই ব্য়স্ত থাকেন বৃদ্ধা। সেখানেই সমস্যার সূত্রপাত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁর কালোছায়ায় নাকি গ্রামের অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ডাইনি অপবাদ দিয়ে শুক্রবার বৃদ্ধার বাড়িতে চড়াও হন এলাকার বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয় বৃদ্ধাকে। ওই পরিস্থিতিতে ঘোরানো হয় এলাকায়। চলে মারধর। প্রাণে বাঁচতে চাইলে গ্রাম ছাড়তে হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে শনিবার মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘর ছাড়েন বৃদ্ধা।
অবশেষে আত্মীয়দের সহযোগিতায় বালুরঘাট থানায় সাতজন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপে ফিরতে চাইছেন ঘরে। নির্যাতিতার কথায়, “ডাইনি অপবাদ দিয়ে গতবছরও কয়েকজন গ্রামবাসী অত্যাচার শুরু করেছিল। এরপর সালিশি সভায় বিষয়টি মিটমাট হয়। কিন্ত আবার অত্যাচার শুরু হয়েছে। গ্রাম না ছাড়লে প্রাণে মারবে বলে হুমকি দিচ্ছে।” বৃদ্ধার দাবি, তাঁর জমি হাতাতেই এই অত্যাচার। এবিষয়ে ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানান, “একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রামে গিয়েছিল। পুরো বিষয়টি দেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।”