শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: এবার জাল দলিল তৈরির চক্রের হদিশ মিলল চোপড়ায়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও কার্যালয় সংলগ্ন চত্বরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলে। চারটি সাইবার কাফের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেইসব দোকান থেকে একাধিক কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক ও পেন ড্রাইভ, প্রিন্টার উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের ইসলাম মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই চক্রে আর কারা জড়িয়ে? কত দূর ছড়িয়ে আছে এই চক্র? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল শেখ ইব্রাহিম রাজা, জামারুল হক, শাহিন আক্তার ও মেহেবুব আলম। প্রত্যেকের বাড়ি স্থানীয় এলাকায়। আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, “জাল দলিল দেখিয়ে জমির কেনাবেচার অভিযোগে গত মার্চে ধৃত চোপড়া রেজিস্ট্রি অফিসের অস্থায়ী কর্মী ভাস্কর পালকে জেরা করে অমৃতকুমার সিংহ নামে এক সাইবার কাফের মালিকের হদিশ মেলে। মূলত অমৃতকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই একে একে জাল শংসাপত্র তৈরি চক্রে জড়িতদের খোঁজ মেলে। প্রথমে রেজিস্ট্রেশন দপ্তরের নজরে বিষয়টি আসে।” এরপরই চোপড়ার বিডিও অফিস চত্বরের বিভিন্ন সাইবার কাফেগুলোতে দীর্ঘক্ষণ অভিযান চালানো হয়। একাধিক নথির খোঁজ মেলে। গ্রেপ্তার করা হয় চার সাইবার কাফের মালিককে।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, ধৃতরা জাল শংসাপত্রের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন উপভোক্তাদের প্রতারণা করতেন। জাল দলিল কারবারের সঙ্গে ওপাড়ের অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্ক রয়েছে কি? সেই সেইসব বিষয়গুলোও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে বলে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান এদিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন