‘কোভিড রোগীকে মেরে দাও’, অতিমারীর সময় দুই চিকিৎসকের অডিও ভাইরাল! দায়ের FIR

‘কোভিড রোগীকে মেরে দাও’, অতিমারীর সময় দুই চিকিৎসকের অডিও ভাইরাল! দায়ের FIR

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বললেও বোধহয় কম বলা হয়। ২০২১ সালে যখন কোভিড অতিমারীর সঙ্গে যখন লড়াই করছে গোটা দেশ। ঠিক সেই সময়েই দুই ডাক্তারের নিজেদের মধ্যে কথপোকথনে এক রোগীকে ‘মেরে ফেলা’ নিয়ে আলোচনা করছেন! সম্প্রতি এমনই একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এনিয়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, যে ডাক্তারকে মানুষ ভগবান বলে মনে করে তাঁরা কীভাবে এক রোগীকে মেরে ফেলার বিষয়ে আলেচনা করতে পারেন?

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ডাক্তারের মধ্যে ডাঃ শশীকান্ত দেশপাণ্ডে সেসময় উদগীর জেলা হাসপাতালের অতিরিক্ত জেলা সার্জেন হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। অপরজন ডাঃ শশীকান্ত দাঙ্গে মহারাষ্ট্রের লাতুরে কোভিড কেয়ার ইউনিটে নিযুক্ত ছিলেন।

ভাইরাল অডিওতে মারাঠি ভাষায় ওই দুই চিকিৎসককে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। এক চিকিৎসক অপর চিকিৎসকের কাছে কোভিড রোগীর জন্য বেড ফাঁকা আছে কিনা জানতে চাইলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এসেছে, ‘কাউকে ঢুকতে দিও না। প্রয়োজনে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ করে দাও। মেরে ফেল রোগীকে।’

এই অডিও নতুন করে ভাইরাল হতেই গত ২৪ মে অভিযোগ দায়ের করেন আজিমুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারির সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কয়েকদিনের চিকিৎসার পর ওই ব্যক্তি সুস্থ হলেও তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ওই ব্যক্তি দুই চিকিৎসকের মধ্যে এমন ফোনালাপ শুনেছিলেন। আজিমুদ্দিনের কথায়, “চিকিৎসক ডাঙ্গের সঙ্গে আমি কেবিনে বসেছিলাম। তখন একটা ফোন আসে। উনি খাচ্ছিলেন বলে ফোনটা লাউডস্পিকারে দিয়েছিলেন। সেই সময়ই আমি এই কথা শুনি। বুঝতে পারি, আমারই স্ত্রীকে নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন ওই ডাক্তার।”

এদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মামলা রুজু হতেই দু’জন পুলিশ আধিকারিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। একজন জাক্তারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে অপর আর এক ডাক্তার এই মুহূর্তে জেলার বাইরে থাকায় তাঁকে দ্রুত হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *