সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে এখন আপাত শান্তির পরিবেশ। তবে সেই শান্তি স্বতঃস্ফূর্ত নয়। গায়ের জোরে এই শান্তি স্থাপন করা। কাশ্মীরে ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই উপলব্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রকে নিশানা করে ওমর বলছেন, “এভাবে বেশিদিন শান্তি বজায় রাখা যায় না।”
২০১৯ সালে কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে। একই সঙ্গে কেড়ে নেওয়া হয় পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা। তার আগে থেকেই অবশ্য উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরোপুরি কেন্দ্রের হাতে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাবি, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরে শান্তি ফেরানো সম্ভব হয়েছে। উপত্যকায় কমেছে জঙ্গি কার্যকলাপ, স্থানীয়রা আর বিক্ষোভ দেখান না। সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া কমেছে। সার্বিকভাবে উপত্যকা এখন অনেক শান্ত।
ওমর কেন্দ্রের সেই দাবি ঘুরিয়ে মেনে নিলেন। কিন্তু মেনে নিলেও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই শান্তি স্বাভবিক বা স্বতঃস্ফূর্ত নয়। তিনি বলছেন, “কাশ্মীরে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি সেটা যদি স্বাভাবিক হত, তাহলে সেটার চেয়ে ভালো কিছুই হয় না। কিন্তু এই শান্তি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত নয়।৩৭০ ধারা বাতিলের পরে কাশ্মীর উপত্যকায় জোর করে স্বাভাবিকতা ফেরানোর চেষ্টা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল না। ছিল বলপ্রয়োগ।” ওমরের বক্তব্য, “এভাবে যদি ভয় দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করানো হয়, তার প্রভাব কিন্তু ক্ষণস্থায়ী হতে বাধ্য।”
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসার পর থেকেই কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ওমর। যদিও কেন্দ্র তাতে এখনও আমল করেনি। এবার সেই দাবি জোরালো করতেই সম্ভবত কাশ্মীরের শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এভাবে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন আবদুল্লা।