১
বুদ্ধজন্মের প্রতি মোহ
অনিন্দ্য সরকার
‘যে গৃহে কখনও মৃত্যু আসেনি
ছায়া ফেলেনি শোকও
আসেনি বিচ্ছেদ,
সে গৃহীর থেকে একমুঠো
শস্য নিয়ে এসো।
তোমার মৃতবৎসা জীববৎসা হবে।’
আমি দরজায় দরজায় ঘুরেছি,
যেটুকু মজুত শস্য গৃহে
সব দিতে তারা রাজি।
কিন্তু আমি নিতে পারি কই!
চারদিকে শুধু মৃত্যু, শোক
অপ্রাপ্তির হুতাশন,
শস্য আমি নিতে পারিনি গৌতম
তবুও কোঁচড় উপচে পড়ছে।
২
আলোড়ন
সোমা দে
দিনান্তে নিজস্ব ছায়াও নিখোঁজ হয় রাত্রিকালীন চক্রবৃত্তে
উচ্চ থেকে উচ্চতর হচ্ছে বিকলাঙ্গ সামাজিক পরিকাঠামো
শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যায় যাবতীয় বিক্ষোভ মিছিল
ভাতের থালায় ভেসে ওঠে অভাবের পটচিত্র কিংবা ব্যর্থ জন্মছক, আর!
ম্যানিকুইন-র দিকে তাকিয়ে থাকা পথশিশুটির অনাবৃত শরীর।
মেঘাচ্ছন্ন চোখে ঘুম নেই, বৃষ্টিও না শুধু ঝড়ের গান
গুলিয়ে ফেলছি ডায়াটোনিক ও রণতূর্যের মধ্যেকার তফাত
এবারে থেমে যেতে চাইছে মন মস্তিষ্কের অ্যাক্সিলারেটর
বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছের বিরুদ্ধাচরণে তৎপর পার্থিব অসুখ
ব্রহ্মযোগে বিশ্রাম নয়, আত্মাহুতির জন্য প্রস্তুত হও
জাগতিক আলো ছড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসো ধ্যানমগ্ন তপস্বী
সেখানেই একমাত্র ঈশ্বরের বাস…
৩
যেমন-তেমন
বিটু দাস
তুমিও নেহাত হাসতে পারো, উদোম মাথায় ছক্কা রোদ
সুখী দেশে সবাই শাসক, নদীর চোখে সমুদ্রতট!
খাঁচাগুলো আদর প্রেমিক, পাখি তবু আকাশ শুধায়…
যন্ত্রী আজ তুমি-আমি, বৃষ্টি লাফায় সামান্যতায়!
যখন সহজ রাস্তা ভুলে, পথিক হারায় যোগ্য আলো
তার মুখেতে দরদ ভরা, তার হাতেতে সোহাগ জ্বালো।
সময়গুলো রাখাল ঠাকুর, দু’পাশেতে তুমি-আমি
শব্দগুলো যেমন-তেমন, সুরগুলো ভাই কেউ ভোলেনি!
The publish কবিতা appeared first on Uttarbanga Sambad.