সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেল আভিভকে ফের চোখরাঙানি ইরানের। ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর বিশ্বের একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছে তেহরান। কিন্তু আপাতত সেই জায়গাগুলির নাম প্রকাশ করা হবে না। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ।
ইরানের সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র বানানো ইরানের সামরিক বাহিনীর কাছে এখন প্রধান লক্ষ্য। অদূর ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অস্ত্র কারখানাগুলির নাম ঘোষণা করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে আমরা অত্যাধুনিক কাসেম বসির ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করিনি। যুদ্ধ যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী হত, তাহলে আমরা তার প্রয়োগ করতাম। ইজরায়েল কোনওভাবেই সেগুলিকে ধ্বংস করতে পারত না।” উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট ইরানি সেনা ওমান উপসাগর এবং উত্তর ভারত মহাসাগরের কাছে একাধিক ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষা করে। বস্তুত, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর এটাই ছিল ইরানের প্রথম সামরিক মহড়া।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই সময় থেকেই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একদিন পর সেই আশঙ্কা সত্যি করে ইজরায়েলে পালটা হামলা চালায় ইরান। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। মৃত্যু হয় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। প্রাণ হারান ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও। এছাড়াও পারমাণবিক গবেষণাকারী অন্তত ৯ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়ছে বলে জানিয়েছে ইরান। ইরানের প্রত্যাঘাতে বারবার কেঁপে ওঠে তেল আভিভ-সহ গোটা ইজরায়েল।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় ২২ জুন। ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন বায়ুসেনা। জবাবে মিসাইল ছুড়ে ইজরায়েলকে ঝাঁজরা করে দেয় তেহরান। আমেরিকাকে শিক্ষা দিতে সিরিয়া-কাতার-ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলা চালায় ইরান। তারপরই আচমকা ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।