দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রাতে ঘুমতে যাওয়ার সময়ে সাপে কামড়েছে। ঘাতক সাপটিকে ধরে সটান হাজির সরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকের কাছে যুবকের কাতর আর্জি, “ডাক্তারবাবু আমাকে বাঁচান। সাপ ধরে এনেছি।” বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। এমন ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জীবন্ত সাপ দেখতে হাজির হন রোগী ও রোগীর পরিজনেরা।
হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায়। সেই সময় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা পালান সর্দার জীবন্ত কেউটে হাতে হন্তদন্ত হয়ে হাজির হন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত যুবক বলেন, “মশারি টাঙাতে গিয়েছিলাম। মশারির এক কোণে কেউটে সাপটি ঘাপটি মেরে ছিল। আচমকা বা পায়ে কামড় দেয়। সাপ ধরে সোজা হাসপাতালে চলে আসি।” কর্তব্যরত সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু করেন। তাঁকে সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক দেওয়া হয়।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ রায় জানিয়েছেন, “সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবক সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে আসায় চিকিৎসায় সুবিধা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সাপ ধরে কিংবা মেরে আনা উচিত নয়। কারণে সাপ ধরতে গেলে দ্বিতীয়বার কামড় দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষের মাত্রাও বাড়বে। বিপদ হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “একটু গরমের পড়তেই চলতি বছরের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে কেউটের দাপট। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। সাপের উপদ্রব বাড়বে। সেক্ষেত্রে কামড়ের ঘটনা ঘটবে।”