‘অবৈধ’ সরকারকে হঠাতে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক আওয়ামি লিগের, ‘করতে দেব না’, পালটা ইউনুসের

‘অবৈধ’ সরকারকে হঠাতে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক আওয়ামি লিগের, ‘করতে দেব না’, পালটা ইউনুসের

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের পদত্যাগ চেয়ে পথে নামছে আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশের ‘অবৈধ’ অন্তর্বর্তী সরকার ফেলে দিতে ফেব্রুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শেখ হাসিনার দল। হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, মন্দিরে ভাঙচুর, সাহিত্যিক, আইনজীবী, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মামলা দায়েরের প্রতিবাদেই তাদের এই কর্মসূচি বলে খবর। আওয়ামির এই ঘোষণায় পালটা নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছে ইউনুস সরকার। হাসিনার দল ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার ‘গণ অভ্যুত্থানে’ গত বছরের ৫ আগস্ট পতন ঘটে হাসিনা সরকারের। ৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণ করে ইউনুস সরকার। কিন্তু তারপরও দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার কমেনি। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। তারপরই গত নভেম্বর মাস থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচার লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি পায়। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর দিকে দিকে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে মারারও অভিযোগ ওঠে। তাই দেশে শান্তি ফেরাতে পদত্যাগ করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসকে। এই দাবিতেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ।

গতকাল এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে হাসিনার দল জানায়, ‘মহম্মদ ইউনুসের সরকার অনির্বাচিত, অবৈধ, বেআইনি। এই সরকারের অধীনে দেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। তাই আমরা ইউনুস সরকারের পদত্যাগ চাইছি। এর জন্য আমরা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু করে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছি। আমাদের হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ চলবে। কর্মসূচি পূরণ করতে কোনও বাধা আমরা মানব না।’ এদিকে, আওয়ামি লিগের এই ঘোষণার পরই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন ইউনুস। তারপরই তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, “ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ যত দিন না ক্ষমা চাইছে, যত দিন না তাদের নেতৃত্বকে বিচারের মধ্যে আনা হচ্ছে এবং যত দিন না তারা জবাবদিহি করছে, তত দিন তাদের কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, এখন নির্বাচন নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছেন ইউনুস। ভোট নিয়ে বিএনপি, অন্তর্বর্তী সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামি লিগ কোণঠাসা হয়ে গেলেও এখন তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বরাবরই হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এসেছে আওয়ামি লিগ। এখন বাংলাদেশে হিন্দুরাই বিপন্ন। বাড়ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। দেশ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউনুস সরকার। তাই এখন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে হাসিনার দল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *