সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির আগেই বিতর্কের শিরোনামে ‘ফুলে’। সমাজ সংস্কারক জ্যোতিবা ফুলে ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীবাঈ ফুলের জীবনকাহিনি নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার রিলিজ নিয়ে জলঘোলা হয়েই চলেছে! একাধিক ব্রাহ্মণ সংগঠনের আপত্তিতে সেন্সর বোর্ডের কোপে পড়েছে ছবিটি। খবর, অনন্ত মহাদেবন পরিচালিত এই সিনেমায় জাতিভেদ প্রথা, দলিতদের উপর হওয়া অত্যাচারের কিছু দৃশ্য দেখানো নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ, পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডল-সহ আরও অনেক সংগঠন। যার জেরে সেন্সর বোর্ড ছবির কিছু দৃশ্য ছেঁটে নতুনভাবে সিনেমার সম্পাদনার নির্দেশ দেয় নির্মাতাদের। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অবশেষে মুখ খুলেছেন ছবির পরিচালক অনন্ত মহাদেবন। ঘটনার প্রতিবাদ করে গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে ‘অপরিণত’ বলে আঙুল তুলেছেন পরিচালক।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরিচালক। সেখানেই ছবি নিয়ে এহেন আক্রমণাত্মক মনোভাবের বিরোধিতা করে পরিচালক গোটা সমাজকে ‘অপরিণত’ বলে দোষারোপ করেন। এর পাশাপাশি তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, “ভবিষ্যতে এই ধরনের মনোভাবের কোনও বদল ঘটবে বলেও আশা করি না।” তাঁর দাবি, “কিছু অপ্রয়োজনীয় কুসংস্কার ও উসকানি আমাদের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে। এগুলির কারণেই আমরা এখনও অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছি।” আধুনিক সময়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও কীভাবে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক ও বস্তবাদী হয়ে অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেদিকেও আলোকপাত করেন পরিচালক।
প্রসঙ্গত, ‘ফুলে’ ছবির ট্রেলার দেখার পর সেন্সর বোর্ড কিছু দৃশ্য বাদ দেওয়ার কথা বলে। পরিচালকের দাবি, ছবিতে ইতিহাসকে কোনওভাবেই অতিরঞ্জিত করা হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিপূর্বেই মুখ খুলেছেন আরেক পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, সেন্সর বোর্ডকে নিজস্ব ভঙ্গিতে তুলোধোনা করতেও পিছপা হননি তিনি। এমনকী পুরো সিস্টেমটাই কারচুপির শিকার বলে অভিযোগ করেন অনুরাগ। উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা ছিল ‘ফুলে’র। তবে সেন্সরের গেরোয় পড়ে দু’সপ্তাহ মুক্তি পিছিয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।