উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেষকৃত্য সম্পন্ন হল জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg)। চোখের জলে প্রিয় গায়ককে বিদায় জানাতে ভিড় জমিয়েছিল তাঁর হাজার হাজার ভক্তরা। এদিন জুবিনের শেষযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ।
মঙ্গলবার গুয়াহাটির কাছে কামারকুচি গ্রামে (Kamarkuchi) জুবিনের শেষকৃত্য (Cremation) করা হয়েছে। এদিন সকালে অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে জুবিনের শববাহী গাড়ি পৌঁছয় শেষকৃত্যস্থলে। এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় অসমের ভূমিপুত্রকে। এদিন জুবিনের মুখাগ্নি করেছেন তাঁর ছোট বোন পামী বড়ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন জুবিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গীতিকার রাহুল গৌতম। পরিবাররের সদস্যদের সঙ্গে এদিন জুবিনকে শেষ বিদায় জানাতে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁর চার প্রিয় পোষ্য সারমেয়কেও।
‘আমি মারা গেলে অসমে এই গানই বাজবে’, ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর গান ‘মায়াবিনী’ নিয়ে এমনটাই বলেছিলেন জুবিন। আর আজ তাঁর শেষকৃত্যের সময় অশ্রুজলে এই গানই গেয়ে উঠেছিলেন তাঁর ভক্তরা। অসমের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কামারকুচির শেষকৃত্যস্থলে জুবিন গর্গের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। প্রয়াত গায়কের শেষ স্মৃতি আঁকড়ে রাখতে তাঁর পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেছেন শিল্পী দিগন্ত ভারতী।
উল্লেখ্য, নর্থ ইস্ট ফেস্টিভালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন গর্গ। কিন্তু সেখানেই গত শুক্রবার স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে প্রাণ হারান গায়ক। ময়নাতদন্তের পর গত রবিবার ভোরে গুয়াহাটিতে এসে পৌঁছায় জুবিনের দেহ। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে আসা গায়কের মৃত্যুর শংসাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু এনিয়ে আলাদা করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এরপর সোমবারই গায়কের মরদেহের নতুন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল অসম সরকার। সেই মতো মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর নির্ধারিত সময়ে কামারকুচি গ্রামে জুবিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।