দুবাই: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবে শেষ। দর্শকরা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। একটু বেশি তাড়া হতাশ পাকিস্তান সমর্থকদের। তাঁদেরই একজন রীতিমতো আবেগতাড়িত। চিরপ্রতিপক্ষ ভারতের কাছে প্রিয় দলের বারবার হার মানতে পারছেন না। সঙ্গে একটা প্রশ্ন- ‘আমাদের নিয়ে বিরাট কোহলির কী সমস্যা জানি না। যখনই আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরে। বিগ স্কোর, সেঞ্চুরি যেন বাঁধা!’
বিরাটের অফ ফর্ম নিয়ে চর্চার মাঝে শোয়েব আখতারের গলায় ঠিক একই সুর শোনা গিয়েছিল। মজা করে বলেছিলেন, বিরাটের কানে কানে গিয়ে বলুন, পরের ম্যাচ পাকিস্তানের সঙ্গে। দেখবেন ঠিক ফর্মে ফিরবে। রবিবাসরীয় ভারত-পাক দ্বৈরথে তারই প্রতিফলন। তবে বাস্তব হল, শুধু পাকিস্তান নয়, ওডিআই ফরম্যাটে সর্বাধিক ৫১ শতরানের মালিকের ব্যাট বরাবর চওড়া। বিশেষত, রান তাড়ায় বিরাট যেন আরও অপ্রতিরোধ্য।
কোহলির যে গুণে মুগ্ধ রিকি পন্টিংয়ের বিরাট ঘোষণা- তাঁর দেখা সেরা ওডিআই ক্রিকেটার চেজমাস্টারই। একাধিক বিশ্বজয়ী পন্টিং নিজের সমসাময়িক কেরিয়ারে ব্রায়ান লারাকে দেখেছেন। প্রত্যক্ষ করেছেন শচীন তেন্ডুলকারের সাফল্য, মাস্টার ব্লাস্টারকে নিয়ে পাগলামো। তার আগে স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসের যুগ। যদিও পাক-বধে বিরাটোচিত ইনিংসের পর সেরার তকমা বিরাটকেই দিচ্ছেন।
প্রাক্তন অজি অধিনায়ক বলেছেন, ‘মনে হয় না বিরাটের চেয়ে সেরা ওডিআই ক্রিকেটার আমি দেখেছি। মোট রানের তালিকায় আমাকে (১৩,৭০৪) আগেই পিছনে ফেলে দিয়েছে। ওর সামনে এখন শুধু দুজন (শচীন তেন্ডুলকার ও কুমার সাঙ্গাকারা)। আমি নিশ্চিত, সর্বকালের সেরা ওডিআই রান স্কোরার সিংহাসন দখলের দুর্দান্ত সুযোগ বিরাটের সামনে।’ শচীনের সর্বকালীন ১৮,৪২৬ থেকে এখনও ৪,৩৪১ রান পিছনে বিরাট (১৪,০৮৫)।
৩৬-এ পা রেখেছেন বিরাট। শচীনকে পেরোনোর সময় আদৌ কি পাবেন? যে প্রশ্নে পন্টিংয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এখনও ৪ হাজারের বেশি রানে বিরাটের থেকে এগিয়ে শচীন। যা বুঝিয়ে দেয় শচীন কত বড় ক্রিকেটার। তবে লম্বা কেরিয়ারের বিষয়ও রয়েছে। কিন্তু বিরাটের সর্বোচ্চ স্কোরের সম্ভাবনাকে আমি অন্তত খারিজ করতে রাজি নই। খিদে যদি ধরে রাখতে পারে, শচীনকে পেরোনো সম্ভব ওর পক্ষে। পাক ম্যাচে আবারও কোহলি ওর কাজটা করে দেখাল। সাদা বলে, ওডিআই ফরম্যাটে অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়।’
রবিচন্দ্রন অশ্বীনের মুখে আবার শুভমান গিলের বন্দনা। মুগ্ধ যেভাবে শাহিন শা আফ্রিদির এক্সপ্রেস গতি সামলেছেন। প্রাক্তন অফস্পিনারের কথায়, শাহিনের বিরুদ্ধে গিলের টেকনিক তারিফযোগ্য। পায়ের মুভমেন্ট, ব্যাটিং স্ট্র্যাটেজি দুর্দান্ত। পুল শটের ক্ষেত্রে আগেভাগেই দারুণ জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে শাহিনের কোনও পরিকল্পনা খাটেনি শুভমানের বিরুদ্ধে।