উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : ‘রাশিয়া থেকে তেল কিনলে অর্থনীতি ধ্বংস করে দেব’, ভারত-চিনকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমেরিকা ভ্লাদিমির পুতিনকে একঘরে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জারি করা হয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ভারত, চিন, ব্রাজিলের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ায় পুতিনের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। অল্প দামে অপরিশোধিত তেল কেনার সুযোগ থাকায় এই তিনটি দেশও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকা সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি মনে করছে, এই কারণে পুতিনকে বাগে আনা যাচ্ছে না। বন্ধ হচ্ছে না যুদ্ধও।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বাণিজ্য-বন্ধুদের হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন সেনেটর। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘রাশিয়ার তেলের ক্রেতা এমন দেশের উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করতে চলেছেন ট্রাম্প। আমি চিন, ভারত এবং ব্রাজিলকে বলব তোমরা যদি রাশিয়া তেল কিনতে থাকো, তাহলে আমরা তোমাদের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলব, অর্থনীতি ভেঙে দেব।’ এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখা দেশগুলির উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে একটি বিল প্রস্তাব করেছিলেন ওই মার্কিন সেনেটর। তাঁর দাবি, রাশিয়া প্রায় ৮০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ওই তিন দেশে রপ্তানি করে। যা থেকে আসা অর্থ পুতিনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মদত দিচ্ছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মস্কোর অনীহা দেখে ট্রাম্প গত সপ্তাহে ঘোষণা করেন, ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে রাশিয়ার তেলের ক্রেতা দেশগুলির উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। পুতিনের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গেলে ব্রাজিল, চিন এবং ভারতের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটও। তিনি বলেছিলেন, ‘এই তিন দেশকে আমার পরামর্শ, দয়া করে পুতিনকে ফোন করুন এবং তাঁকে বলুন শান্তি আলোচনার বিষয়ে কাজ করতে। অন্যথায় এটি ব্রাজিল, ভারত এবং চিনের উপর ব্যাপক আঘাত হানবে।’ ভারত অবশ্য বলেছে, ‘দেশের জনগণের জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।’