উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে ময়মনসিংহ শহরে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কিছুটা কাজ হয়ে যাওয়ার পর আপাতত সেই কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। বাড়িটি ছিল জমিদার হরিকিশোর রায়ের। তারই দত্তক পুত্র উপেন্দ্রকিশোর। যিনি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা। বহু বছর বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাদেমির ময়মনসিংহ জেলার অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হত। জানা যাচ্ছে, শিশু অ্যাকাদেমিই বাড়িটি ভেঙে বহুতল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ হস্তক্ষেপ করায় ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রত্নতত্ত বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার আধিকারিক সাবিনা ইয়াসমিন, শিশু অ্যাকাডেমির কাছে বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত তথ্য তলব করেছেন। তিনি জানান, বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তালিকাভূক্ত না হলেও একশো বছরের বেশি পুরনো বাড়ি তাদের না জানিয়ে ভাঙার অনুমতি নেই।
বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে খবর পেয়ে বেশ কিছু মানুষ সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, স্বয়ং স্বনামধন্য সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিজড়িত বাড়িটি নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত। এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আমি বাংলাদেশ সরকার ও ওই দেশের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন করব, এই ঐতিহ্যশালী বাড়িটিকে রক্ষা করার জন্য। ভারত সরকার বিষয়টিতে নজর দিন।’
খবরে প্রকাশ যে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, স্বয়ং স্বনামধন্য সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিজড়িত তাঁদের পৈতৃক বাড়িটি নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত।
এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। রায় পরিবার বাংলার…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 15, 2025
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়ি তথা মিউজিয়ামে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।