উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শর্তসাপেক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি না হলেও আলোচনা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার পথে চলছে। একথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বুধবার টেলিফোনে কথা বলার পর এই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে আলোচনাকে ‘দারুণ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেন ট্রাম্প। ওভাল অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার সারবস্তু, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে অস্বীকার করেছেন পুতিন। তাঁর সাফ কথা ছিল, যুদ্ধ পুরো বন্ধ করতে হলে আগে ইউক্রেনকে সাহায্য করা বন্ধ করতে হবে পশ্চিমি দেশগুলিকে। ইউক্রেন পুনরায় নিজেকে সামরিক অস্ত্রে বলীয়ান করতে পারবে না, এই শর্ত কি জেলেনস্কি মানবেন? এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।
ন্যাটোর সদস্য হতে মরিয়া ইউক্রেন। ট্রাম্প কিছুদিন আগে তা নাকচ করে দিয়েছেন। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ (Ukraine-Russia Conflict) চলছে প্রায় তিন বছর। ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে।
যে কোনও দেশের জ্বালানি পরিকাঠামো সেই দেশের এক বড় সম্পদ। পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনায় কিন্তু উঠে আসে, কিভ ও মস্কো কেউই পরস্পরের জ্বালানি পরিকাঠামোয় আঘাত না হানার ব্যাপারে একমত হয়নি। তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প আলোচনা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে লিখেছেন, পুতিনের সঙ্গে সামগ্রিক আলোচনার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের চাহিদা ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পক্ষে ট্রাম্প।
গতকাল জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার পর ট্রাম্পকে বেশ খুশি খুশি দেখিয়েছে। রাশিয়া ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা অনেকটাই সঠিক পথে আছি।’ কিছুদিন আগে ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সঙ্গে তিক্ততা ভুলে ট্রাম্প যে তাঁকে ফোন করেছেন এটা তাঁর সুবিবেচনার পরিচয় দিচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সুত্রের খবর, পুতিন নাকি আপাতত ইউক্রেনে হামলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।